যাত্রীদের অধিকত সেবা প্রদানের লক্ষ্যে এমিরেটস এয়ারলাইন্স ফ্লাইট পরিচালনা কালীন মোবাইলফোন ব্যবহারের সুযোগ প্রদান করবে। ইতোমধ্যে প্রথমবারের মতো এমিরেটস তার দুবাই-কাসাব্লাঙ্কা ফ্লাইটে যাত্রীদের এই সুযোগ প্রদান করেছে। উল্লেখ্য, দীর্ঘদিন যাত্রীদের উড়োজাহাজে মোবাইলফোন ব্যবহারের সুযোগ প্রদানের দাবী-এর মাধ্যমে পূরণ করলো এমিরেটস এয়ারলাইন্স। সারা বিশ্বব্যাপী ফ্লাইট পরিচালনাকারী প্রথম এয়ারলাইন্স হিসেবে যাত্রীদের মোবাইল ব্যবহারের সুযোগ প্রদানের মাধ্যমে এমিরেটস এয়ারলাইন্স অধিকতর যাত্রীসেবা প্রদানে নিজেদেরকে একধাপ এগিয়ে নিতে সচেষ্ট হলো। কেননা, ফ্লাইট পরিচালনাকালীন সময়ে যাত্রীদের মোবাইলফোন ব্যবহার সম্পন্নরূপে নিষিদ্ধ থাকায় এতোদিন যাত্রীরা তাদের প্রয়োজনে ফ্লাইটে মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে পারতো না। এর অন্যতম কারণ হিসেবে ফ্লাইট পরিচালনাকালীন সময়ে উড়োজাহাজের ইলেকট্রোনিক্স যন্ত্রাদির ইন্টারফেসিং সমস্যাকে মূল্যায়িত করা হতো। কিন্তু যাত্রীদের অধিকতর সুবিধা প্রদানের সিদ্ধান্তের কারণে এমিরেটস তাদের উড়োজাহাজসমূহে নতুন প্রযুক্তি সম্পন্ন যন্ত্রাদি প্রতিস্থাপনের মাধ্যমে উড়োজাহাজের ইলেকট্রোনিক্সসমূহে ইন্টারফেসিং সমস্যা বন্ধ করতে সক্ষম হয়। প্রাথমিক অবস্থায় যাত্রীরা ফ্লাইটে তাদের মোবাইল ফোনের মাধ্যমে টেক্সট ম্যাসেজসমূহ গ্রহণ এবং প্রেরণ করতে পারবে। সেই সাথে কেবিন ক্রু’রা সীমিত সময়ের জন্য ভয়েস কল করতে সক্ষম হবেন। এমিরেটস ফ্লাইটসমূহের মোবাইল ব্যবহার করার সময় যাত্রীদের তাদের ফোনসমূহ সাইল্যান্ট মোডে রাখতে হবে। যাত্রীদের এই সেবা প্রদানের লক্ষ্যে নিজস্ব প্রযুক্তি উন্নয়নে ভূমিকা রেখেছে এরো মোবাইল নামক প্রতিষ্ঠান। এরো মোবাইলের শীর্ষ নির্বাহী বন্ড টালে সেন্ডবার্গ এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘আমরা যাত্রীদের তথা ফ্লাইটের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার মাধ্যমেই এই প্রযুক্তির উন্নয়ন সাধন করেছি। এবং যাত্রীরা এর মাধ্যমে তাদের প্রয়োজনীয় কাজ সমাধা করতে অধিকতর সুযোগ নিশ্চিত করতে সক্ষম হবেন।’ এমিরেটস-এর পরিকল্পনা অনুযায়ী খুব অল্প সময়ের মধ্যে তাদের ৬০টি দেশে ফ্লাইট পরিচালনাকারী উড়োজাহাজে ক্রমান্বয়ে যাত্রীরা এই সেবা পেতে সক্ষম হবে। সেই সাথে পরিকল্পনা রয়েছে ব্ল্যাকবেরিসহ অন্যান্য ডাটা সার্ভিসসমূহ যাত্রীদের কল্যাণে অচিরেই প্রদান করার।



