ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মৎস্যজীবীদের জন্য সুখবর নিয়ে এসেছেন কলকাতার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সমুদ্রবিজ্ঞান বিভাগের গবেষকেরা। তাঁরা আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে গভীর সমুদ্রে মাছের অবস্থান নির্ণয়ের প্রযুক্তি উদ্ভাবন করেছেন। এর ফলে এখন হয়তো আর গভীর সমুদ্রে গিয়ে খালি হাতে ফিরতে হবে না মৎস্যজীবীদের। তারা আগেভাগে মাছের অবস্থান জেনে তবেই বেরিয়ে পড়তে পারবেন মাছ ধরার জন্য। ইতিমধ্যে পশ্চিমবঙ্গের মৎস্যবন্দর কাকদ্বীপ, নামখানা, ফ্রেজারগঞ্জ, দীঘা, ডায়মন্ড হারবার, জুনপুট ও শংকরপুরের মৎস্যজীবীদের এ প্রযুক্তি সম্পর্কে ধারণা দিতে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সমুদ্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপকেরা মৎস্যজীবীদের প্রশিক্ষণ দেওয়া শুরু করেছেন। ভারত সরকারের ভুবিজ্ঞান মন্ত্রণালয়ের ‘ইনকোয়েস’-এর ব্যবস্থাপনায় এই প্রশিক্ষণ চলছে। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভুবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক সুগত হাজরা জানিয়েছেন, বর্তমানে বরফ ও জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে। তা সত্ত্বেও অনেক সময় দেখা যায়, মৎস্যজীবীরা গভীর সমুদ্রে মাছ ধরতে গিয়ে না পেয়ে ফিরে আসেন। এতে ক্ষতি হয় অনেক টাকা। এ দিক ভেবেই কেন্দ্রীয় সরকার মাছের অবস্থান জেনে মৎস্যজীবীদের মাছ ধরতে গভীর সমুদ্রে পাঠানোর উদ্যোগ নেয়। ফ্রেজারগঞ্জ, কাকদ্বীপ, নামখানা, শংকরপুর, ডায়মন্ড হারবার ও জুনপুট মৎস্য বন্দরে ‘প্লাজমা’ টিভি বসানো হচ্ছে। সেখান থেকেই মৎস্যজীবীরা মাছের অবস্থান সম্পর্কে পূর্বাভাস পাবে। এ লক্ষ্যে গভীর সমুদ্রে বেশ কটি জায়গা চিহ্নিত করা হয়েছে। এ ছাড়া মাছ ধরার ট্রলারে তারহীন প্রযুক্তির সুবিধায় সব সময় তীর থেকে নির্দেশ পৌঁছানো যাবে তাঁদের কাছে। বিনা খরচে এই সুবিধা পাবে মৎস্যজীবীরা। প্রাথমিকভাবে পাঁচ বছরের জন্য নেওয়া হয়েছে এই পরিকল্পনা।