একটি উপযুক্ত সফটওয়্যার পারে সস্তা ফোনগুলোকে শতশত মিলিয়ন লোকের অর্থনৈতিক জীবনব্যবস্থা গড়ে দিতে। ভারতের ব্যাঙ্গালোরে এ ধরনের একটি কর্মসূচি গৃহিত হয় এবং এতে সহযোগীতা করে এমচেক নামের একটি প্রতিষ্ঠান। যাদের সফটওয়্যার ইতোমধ্যে পাঁচ হাজারেরও বেশি গ্রহক ব্যবহার করেছে। তারা প্রথমে এটি স্বল্প পরিসরে ব্যবহার করেছিল ফোন বিল পরিশোধ, এয়ারলাইনের টিকেট ক্রয়, মুভি টিকেট ক্রয় ইত্যাদি কাজে। তার একটি সংক্ষিপ্ত কর্মসূচি গ্রহণ করে ৫০০০ ঋণ গৃহীতার মাঝে যারা এই সিস্টেম ব্যবহার করেছিল। তাদের লক্ষ্য ছিল মোবাইল ফোনের বোতাম চেপে ব্যাংক একাউন্ট খোলা ও পরিবর্তন করা, গ্রামীণ ঋণ আদান-প্রদান এবং এলাকার জনগণের মাঝে ব্যবসায়িক প্রবণতা বাড়ানো।

ব্যাঙ্গালোরে অবহেলিত গ্রামের ৩২ বছর বয়সের সারিরা খানাম তার জীবন ব্যবস্থার পরিবর্তন ঘটিয়েছে একটি ব্যাংক একাউন্ট ও ক্ষুদ্র ঋণের মাধ্যমে। তার জীবনের প্রথম ঋণ ১০০০০ রুপি নিয়ে তিনি স্বল্প পরিসরে কেরসিন বিতরণের ব্যবসা শুরু করে। দ্বিতীয়বার লোন দিয়ে তার বোনের বিয়েতে কাজে লাগায় এবং তৃতীয়বার ২০০০০ রুপি লোন দিয়ে গ্রামের মহিলাদের জন্য শাড়িতে চুমকি বসিয়ে ব্যবসায়িক ভিত্তিতে তা বিক্রি করেন। খানাম শৈশবে পোলিও আক্রান্ত হয়ে শারিরীকভাবে কিছুটা অক্ষম হয়ে পড়ে। তার চুন সুরকির ভাড়া বাসায় সে একলা বাস করত। গ্রামীণ কথা ক্ষুদ্রঋণ সংস্থা যার মাধ্যমে খানাম এ ঋণ পেয়ে ছিল। একজন প্রতিনিধির মাধ্যমে খানাম ঋণের সে টাকা কিস্তির মাধ্যমে পরিশোধ করত। খানাম এরকম নয় জন ঋণ গ্রহীতার একটি গ্রুপের নেতৃত্ব দিয়েছিল।

গ্রামীণ কথা তাদের ১৬ হাজার ঋণ গৃহীতার জন্য ৬০০ কর্মচারী নিয়োগ দিয়েছিল এবং তারা ৫২টি শাখায় তাদের অফিস সমূহ ভাগ করেছিল। সপ্তাহে ৫০০ ঋণ গৃহীতা মিটিংয়ে অংশগ্রহণ করত। এরকম একটি মিটিং হতে একজন কর্মচারীকে ৫০০০০ থেকে ১০০০০০ রূপি বহন করতে হত। তাকে প্রায় ২০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে এ ঋণের টাকা ওঠাতে হত এবং তা বহন করে আনতে হত। এর ফলে অনেক কর্মকর্তা চুরি, ধোকাবাজির শিকারে পরিণত হত। অল্প কিছুদিনের মধ্যে খানম একটি মোবাইল ফোন ক্রয় করে। নোকিয়া ১১০০ মডেলের এই সেটটি তিনি ক্রয় করেন এবং কিভাবে তার ব্যবসায় এটি কাজে লাগানো যায় সে চিন্তা করে। শীঘ্রই গ্রামীণ কথার সাথে কিভাবে এই ফোনের মাধ্যমে যোগাযোগ করা যায় সে ব্যাপারে চুক্তি করে। গ্রামীণ কথাকে এ ব্যাপারে সহযোগিতা করে এমচেক। এম চেক তাদের সফটওয়্যারের মাধ্যমে গ্রামীণ কথাকে সাহায্য করেছিল। অনেক ঋণ গৃহিতা একটি নতুন এই সিস্টেম গ্রামীণ কথাকে ২০১০ সালের মধ্যে তাদের লক্ষ্য অর্জনে সাহায্য করবে।

অর্ধেকেরও বেশি প্রায় (১.১ মিলিয়ন) ভারতের জনগন সে ধরনের অর্থনৈতিক পরিবর্তন আনতে সক্ষম নয় খানাম যে পরিবর্তন আনতে সক্ষম হয়েছিল। বিশেষজ্ঞদের মতে উন্নয়নশীল বিশ্ব অর্থাৎ বিশ্বের অধিকাংশ দেশের প্রায় ৭০ শতাংশ জনগণের ব্যাংকের সাথে কোন যোগাযোগ নেই বা থাকলেও লেনদেন খুব খারাপ। দারিদ্রতা দূরীকরণে অনাগ্রসর জনগণের মাঝ থেকে ক্ষুদ্র ঋণ যে অতীব গুরুত্বপূর্ণ তা জানা সত্ত্বেও ২০০ মিলিয়নেরও কম মানুষ এর সাথে যুক্ত।

যদি এটা সফলতা লাভ করে তাহলে এই ধারণা ভারতের লক্ষ লক্ষ মানুষের মাঝে ছড়িয়ে পড়বে এবং প্রথমবারের মতো ব্যাংকিং লোনের ক্ষেত্রে তা সাড়া জাগাতে সক্ষম হবে। ভারতের জাতীয় অর্থনীতিকে তা আরো এগিয়ে নিতে সক্ষম হবে। ব্যাংক একাউন্টে টাকা মোবাইলের মাধ্যমে রাখা যাবে এবং ব্যাংক ও ব্যাংক একাউন্টের মালিক উভয়েই লভ্যাংশ পাবে। ভারতের ৯০ শতাংশ ট্রানজেকশন ক্যাশ টাকায় হয়ে থাকে। এর ফলে প্রায় ১০ বিলিয়ন ডলারের ট্রানজেকশন এর মাধ্যমে হবে এবং গ্রামের লোকজন এর লভ্যাংশ পাবে। সামগ্রীকভাবে মূলধনের মূল্য ও তারল্য বৃদ্ধি পাবে। এর ফলে বিশাল আকারের পরিবর্তন আসবে যা গ্রামের লোকজনের জন্য প্রয়োজন। মূলত এর ফলে গ্রামের শিক্ষা ব্যবস্থা, যোগাযোগ ব্যবস্থা, জীবনের মান উন্নয়ন, মোবাইল যোগাযোগ, মোবাইল ট্রানজেকশনে উৎকর্ষতা সাধন সম্ভব।

ভারতের ৪৫০ মিলিয়নেরও অধিক জনগণ দারিদ্র সীমার নিচে বসবাস করে অর্থাৎ প্রতিদিন একজনের আয় ২৫ রূপিরও কম। তা সত্ত্বেও এ ধরনের জনগোষ্ঠী মোবাইল ফোন কিনছে। ২০০৮ সালের আগস্ট মাসে দেখা যায় ৩০৫ মিলিয়ন ভারতীয় মোবাইল ফোন ব্যবহার করে, শুধু আগস্ট মাসেই ৯ মিলিয়নের মত এ সংখ্যা বৃদ্ধি পায়, যা ভারতকে বিশ্বের দ্রুত বর্ধনশীল মোবাইল বাজারে পরিণত করেছে এবং চীনের পরে দ্বিতীয় বৃহত্তম। বিশেষজ্ঞদের মতে ২০১২ সালের শেষে ভারতে মোবাইল ব্যবহারকারীর সংখ্যা দাঁড়াবে ৭৫০ মিলিয়ন। নতুন নতুন ব্যবহারকারীর বেশিরভাগই গ্রামের বসবাসকারী দরিদ্র জনগণ। তারা এই প্রিপেইড প্ল্যান হতে অনাবশ্যক খরচ বাদ দিয়ে সুবিধা নিতে চাইছে। সবাই মোবাইল ফোন ব্যবহার করার কারণে এই সুবিধাটা দ্রুত বেড়ে চলেছে কিন্তু ল্যান্ডফোন, ইন্টারনেট বা পাওয়ার গ্রীডের মত কাঠামোগুলো পিছিয়ে পড়ছে। নতুন মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীর ঝামেলা মুক্ত ব্যাংকিং এর সুবিধা নিতে পারছে এবং গ্রামীণ জনগণের মাঝে আস্থা ফিরে আসছে। ইন্ডিয়ান সেন্ট্রাল ব্যাংক, রিজার্ভ ব্যাংক অব ইন্ডিয়া এতে উৎসাহ প্রদান করছে এবং জনগণের উন্নয়নের ক্ষুদ্র উপায় বাতলে দিচ্ছে। যারা এ ধরনের ঋণ নেয় না তারা বিশেষ করে গরীব কৃষকরা একদিনে ১০ শতাংশ সুদ প্রদান করে। তারা ১০০ রুপির মূল্য বিশিষ্ট কোন পণ্য ক্রয় করলে সন্ধ্যা বেলা ১১০ রুপি পরিশোধ করতে হয়। যদি তারা কোন দিন অসুস্থ থাকে বা অঘটন ঘটে তবে তারা বিক্রেতাকে টাকা ফেরত দিতে না পারলে তা চক্রবৃদ্ধি হারে বেড়ে মারাত্মক রূপ ধারণ করে। তাই খাদ্য, চিকিৎসা বা অন্যান্য প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে রীতি মাফিক অগ্রসর হওয়া প্রয়োজন।

এখন পর্যন্ত এমচেক সফটওয়্যার স্বল্প সংখ্যক কিছু এপ্লিকেশন ভারতের সবচেয়ে বড় মোবাইল ফোন কোম্পানি এয়ারটেলের মাধ্যমে ৫ লক্ষ গ্রহককে এই সুবিধা দিচ্ছে। এই প্রযুক্তি যেকোন অর্থ ট্রানজেকশনের ক্ষেত্রে সহজেই ব্যবহার করা যায়, একটি গোপন পিনকোড এবং কিপ্যাড ক্লিক করে সহজেই এক স্থান থেকে অন্য স্থানে টাকা পয়সা আদান প্রদান করা সম্ভব। এমচেক মোবাইল ব্যাংকিং এর এই যাত্রা শুরু করেছে। সেখানে প্রতি মাসে ১৬ মিলিয়ন নতুন একাউন্ট খোলা হচ্ছে অর্থাৎ প্রতিদিন প্রায় অর্ধ মিলিয়ন, প্রতি সেকেন্ডে ৬টি একাউন্ট খোলা হচ্ছে। যদি তারা মোবাইল ফোনের ব্যবহার জানে, তাবে তারা অন্য এপ্লিকেশনের ক্ষেত্রে তা ব্যবহার করতে পারবে। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মত ভারতেও টেলিকম কোম্পানির মাধ্যমে জনগণকে একাউন্ট খুলতে বাধা দিচ্ছে। শুধুমাত্র ব্যাংক অথবা এনজিও প্রতিষ্ঠান যার মধ্যে গ্রামীণ কথার মত ক্ষুদ্রঋণ প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর মাধ্যমে করতে হবে। তাই এমচেক এধরনের প্রতিষ্ঠানগুলোকে সঙ্গে নিয়ে কাজ করার আশা করছে।

গ্রামের সাধারণ জনগণ কিভাবে এতে উপকৃত হচ্ছে ব্যাঙ্গালোরের কিছু কৃষকের দিকে তাকালে তা বোঝা যাবে। গ্রামের একজন কৃষককে তার পণ্য নিয়ে ভোর চারটার সময় শহরে পৌঁছতে হয় এবং সকাল ৬টার মধ্যে তারা বেচাকেনা শেষ করে। এরপর একজন কৃষককে বসে অপেক্ষা করতে হয় কখন ব্যাংক খুলবে তার জন্য। এরপরে পথে টাকা পয়সা নিয়ে ফেরার সময় চোর ডাকাতের ভয় থাকে। যদি কৃষক এমচেক ব্যবহার করে ইলেকট্রনিক্যালি অর্থ আদান প্রদান করতে পারে তাহলে তার সময় ভয় দুটোই বেচে যায়। এমচেক একটি পাইলট কর্মসূচি হাতে নিয়েছিল সিটি ব্যাংক ও ব্যাঙ্গালোর রিটেইলারদের সাথে কর্মসূচিতে তারা ৮৫ শতাংশ কৃষকদের এতে আনতে পেরেছিল যাদের মোবাইল ফোন আছে। এক রিপোর্টে দেখা যায় ইলেকট্রনিক্যালি আদান প্রদানে তাদের যে সময় বেঁচে যায় তা তাদের নিজস্ব কাজে ব্যয় করতে পারে।

বিশ্বের দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে সহায়তা করার জন্য এমচেক-ই প্রথম মোবাইল ব্যাংকিং চালু করেনি। সিজিএপি ৩৪টি উন্নয়ন প্রতিষ্ঠান নিয়ে বিশ্ব ব্যাংকের মাধ্যমে একটি আবাস গড়ে তোলে। ফিলিপাইনে ২০০১ সালে টেলিকম কোম্পানি স্মার্ট কানেকশন একটি ব্যাংকের সাথে সম্পৃক্ত হয়ে এ ধরনের মোবাইল অর্থ ব্যবস্থা গড়ে তোলে। এ ধারণাটি ২০০৫ সালে দক্ষিণ আফ্রিকায় আরো বিস্তৃতি লাভ করে যখন ওয়াইজি ব্যাংকিং ও অর্থ আদান প্রদানে মোবাইল ফোনকে ব্যবহার করে। এবং ২০০৭ সালে কেনিয়ার প্রভাবশালী মোবাইল অপারেটর সাফারিকম মোবাইলে অর্থ আদান-প্রদান কর্মসূচি এম-পিসা-চালু করে।

মোবাইল ফোন কোম্পানি মনে করে ব্যাংক হচ্ছে ডাইনেসরের মত আগ্রাসী। কিন্তু দুই শিল্পই একত্রে মোবাইল ফোন ভিত্তিক ব্যাংকিং চালু করতে চায়। শুরুতেই এমচেক নিরাপত্তা ও ব্যবহার বিধির উপর জোর দিয়েছে। এই সফটওয়্যারটি যেকোন ফোনে একই কাজ করতে পারে এবং যেকোন নেটওয়ার্কে মেসেজ পাঠিয়ে ট্রানজেকশন করা যেতে পারে। এমচেক আরো জানায় যে, তারা একমাত্র মোবাইলে অর্থ আদান প্রদানকারী সংস্থা। যারা ভিসা কর্তৃক পরিমিত। এবং এই কোম্পানি কোন ব্যাংক অথবা মোবাইল কোম্পানির কাছে বাধা থাকবে না। তাই এটা সহজেই এগিয়ে যেতে পারবে। গত আগস্ট মাসে যখন এয়ারটেল সরাসরি তাদের সিম কার্ডের মধ্যে এমচেক প্লাটফর্ম ব্যবহার করে তখন এর ব্যবহারকারীর সংখ্যা দ্রুত বৃদ্ধি পায়। এর ফলে ফোন ব্যবহারকারীদের আলাদাভাবে এমচেক এর সফটওয়্যার ডাউনলোড করার প্রয়োজন হয় না। এমচেক এর সহযোগী কোম্পানির সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে এবং এর সদস্য সংখ্যা দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে।

বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতা থাকা সত্ত্বেও এটা পরিষ্কার নয় যে, কিভাবে লক্ষ লক্ষ গ্রামের দরিদ্র মানুষ মোবাইল ব্যাংকিং-এ অর্থ জমা করছে এবং ক্যাশ আদান প্রদান প্রচলন কমছে যদিও তাদের অনেককে একই মোবাইল ব্যবহার করতে হচ্ছে। সারিয়া খানাম উদাহরণ স্বরূপ তার শাড়ি বিক্রির অর্থ জমা করছে গ্রামীণ কথা এমচেক কর্মসূচির ইলেকট্রনিক্যাল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে।

কাসাগহাটার মানুষের জীবন পরিবর্তন করেছে মোবাইল ব্যাংকিং

ভারত সরকারের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী সেখানকার কিছু ব্যাংক যেমন- পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাংক, স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়া এবং কো-অপারেশন ব্যাংক অল্প কয়েক বছর ধরে ব্যাংকের বাইরেও কিছু কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। শাখা বিহীন ব্যাংকিং ব্যবস্থা ভারতের ৬৩৮০০০ গ্রামে ছড়িয়ে দিয়েছে। ব্যাঙ্গালোরের ৭০ কিলোমিটার উত্তরে এ ধরনের একটি গ্রাম কাসাগহাটা। এখানকার বর্ধিত পরিবারগুলো কংক্রিট ও শুকনো খড় দিয়ে তৈরি বাড়িতে থাকে। মহিলারা বড় ছোপের রঙিন শাড়ি পরে ও গরু পালন করে। পুরুষ মানুষ বড় বড় পাত্রে দুধ নিয়ে অপেক্ষা করে ট্রাক, রোস্টার, স্কুটারের, গন্তব্যে পৌঁছাতে। কাসাগহাটায় ব্যাংকের প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করছেন মুনিয়ামা। ব্যাংক থেকে তাকে একটি যন্ত্র দেয়া হয়েছে এবং ২০০৭ সালে গ্রামে প্রথম ব্যাংকিং ব্যবস্থা চালু হয়। গ্রামবাসী মুনিয়ামার কাছ থেকে স্মার্ট কার্ড ও আঙুলের ছাপ প্রমাণ স্বরূপ দিয়ে অর্থ জমা করত বা উত্তোলন করত। এতে মুনিয়ামা তার মোবাইল ফোন ব্যবহার করে ব্যাংকিং ওয়্যারলেন্স কানেকশনের সাথে যুক্ত থাকত এবং ক্যাশ ট্রানজেকশনের প্রিন্ট করা কপি প্রদান করত। কাসাগহাটার মোবাইল ব্যাংকিং এর এই ধারণা কেউ প্রস্তাব করে নিয়ে আসেনি। জয়ালাকসমি ২২ বছর বয়সের একজন মহিলা কাসাগহাটার গ্রামে গরুর দুধ বিক্রি করে ১০০ রুপি জমা করতে পারছে মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে। জয়ালাকসমি তার স্মার্টকার্ডটি বের করে মুনিয়ামার সাদা যন্ত্রের মধ্যে ধরলেন এবং অডিও ইন্টারফেস থেকে কিছু শব্দ ভেসে আসে এবং তার বাম হাতের আঙুলের ছাপ দিয়ে রিডারের মধ্যে ধরলেন এভাবে ১০০ রুপি জমা হয়ে গেল মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে। সারিয়া খানামের মত জয়ালাকসমি ও মোবাইল ব্যাংকিং এর সাহায্যে তাদের ভাগ্য পরিবর্তন করতে সক্ষম হচ্ছে। কাসাগহাটার মত নিভৃত পল্লীতে ৭০০ পরিবারের মধ্যে ১৯০ জন মোবাইলের মাধ্যমে ব্যাংক একাউন্ট খুলেছে। মোবাইলের মাধ্যমে এই ব্যাংকিং ব্যবস্থা ভারতের গ্রামীণ অর্থনৈতিক ব্যবস্থাকে দিন দিন শক্তিশালী করছে।

সৌজন্যে : দৈনিক ইত্তেফাক