সাম্প্রতিক সময়ে যুক্তরাষ্ট্রে একদল গবেষকের গবেষণায় জানা গেছে ইন্টারনেট ব্যবহারের কারণে মধ্যবয়স্ক এবং প্রবীণ ব্যক্তিদের স্মৃতিশক্তি ভাল থাকে। ইউনিভার্সিটি অফ ক্যালিফোর্নিয়া লস-এঞ্জেলস এর গবেষকগণ এ তথ্য জানিয়েছেন। এ সময় তারা ফাংশনাল ম্যাগনেটিক রিজোন্যান্স ইমেজিং স্ক্যানের মাধ্যমে মস্তিষ্কের কার্যক্রম রেকর্ড করেন। এই গবেষক দলের একজন ড. গ্যারি স্মল বলেন, যে সমস্ত লোকের ইন্টারনেট অভিজ্ঞতা রয়েছে তাদের ব্রেন সার্চের সময় বেশি ব্যবহার করেন। এটা এ কথাই প্রমাণ করে যে, ইন্টারনেট সার্চিং ব্রেনকে ট্রেনের মত জোড়া লাগায়। এর মাধ্যমে যা সঠিকভাবে কার্যকর হয়। ড. স্মলের রিসার্চ আমেরিকান জার্নাল অফ গ্যারিয়েট্রিক সাইকিয়াট্রিতে প্রকাশিত হয়েছে। অনেক স্টাডি থেকেই খুঁজে পাওয়া গেছে চ্যালেঞ্জিং মেন্টাল এক্টিভিটিস যেমন পাজলের মাধ্যমে ব্রেনের ফাংশন প্রিজার্ভ করা যায়। তবে এ সময়ে এর চেয়েও বড় হয়ে দেখা দিয়েছে ইন্টারনেটের ভূমিকা। এই প্রথমবারের মতো মানুষের মস্তিষ্ক স্ক্যান করা হলো ইন্টারনেট সার্চ করার সময়। তার টিমে ছিলেন ২৪ জন সাধারণ ভলান্টিয়ার। যাদের বয়স ছিল ৫৫ থেকে ৭৬। এর মধ্যে অর্ধেকের আগে থেকেই ইন্টারনেট সার্চ করার অভিজ্ঞতা ছিল আর বাকী অর্ধেকের ছিল না। এছাড়া পুরো গ্রুপটি বয়স, লিঙ্গ এবং শিক্ষার দিক থেকে সমান ছিল। উভয় গ্রুপকেই ইন্টারনেট সার্চ এবং বই পড়ার জন্য বলা হয়েছিল। এ সময় তাদের মস্তিষ্কের কার্যক্রম মনিটর করা হয়। স্মল বলেন, আমরা বই পড়ার সময় মস্তিষ্কের ভিজ্যুয়াল কর্টেক্স যা রিডিং এবং ল্যাঙ্গুয়েজ নিয়ন্ত্রণ করে তা কার্যকর হতে দেখেছি। পক্ষান্তরে ইন্টারনেটে সার্চের সময় এই কার্যক্ষমতা আরো বৃদ্ধি পায়। বিশেষ করে যাদের অভিজ্ঞতা রয়েছে, এর মানে দাঁড়ায় যে সমস্ত লোকজনের ইন্টারনেটের সাথে সম্পৃক্ত হবার অভিজ্ঞতা রয়েছে তাদের ব্রেন কার্যক্রমের আরো ভেতরে যাবার সম্ভাবনা রয়েছে। এখানে ইন্টারনেট সার্চিং এর ক্ষেত্রে এমন কিছু রয়েছে যেখানে একটি লেভেল পর্যন্ত ধারণা করতে পারি। এটরোফি এবং কমসেল এক্টিভিটি কগনিটিভ ফাংশনে কাজ করে। আর সে সমস্ত কার্যক্রম ব্রেনকে এনগেজ রাখে তা ব্রেনের চিন্তাশীলতা ও কার্যকারিতা বাড়ায়। এর মাধ্যমে প্রবীণদের ব্রেনের কার্যক্ষমতা তাই অনায়াসে বাড়ানো যায়।