সংবাদ সংস্থা অ্যাসোসিয়েট প্রেস (এপি) তাদের সংবাদের স্বত্ব বা কপিরাইট নিয়ে কর্তৃত্ব দেখানোয় ব্লগারদের সমালোচনার মুখে পড়েছে। সংবাদ সংস্থাটি তাই ব্লগারদের একটি দলের সঙ্গে আলোচনায় বসবে বলে জানিয়েছে। আলোচনার মাধ্যমে ঠিক করা হবে এপির কোন কোন সংবাদ কীভাবে কোন ব্লগে ব্যবহার করা যাবে। প্রয়োজনে এ বিষয়ে একটি নির্দেশনা তৈরি করা হবে।এপির কৌশলগত পরিকল্পনা বিভাগের পরিচালক জিম কেনেডির গত বৃহস্পতিবার মিডিয়া ব্লগার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি রবার্ট কক্সের সঙ্গে বৈঠকে বসার কথা। এপির সংবাদ অনলাইনে ব্যবহারের জন্য একটি নীতিমালা তৈরির প্রচেষ্টা হিসেবে এ বৈঠক ডাকা হয়েছে। এপি ব্লগারদের তাদের সংবাদ ব্যবহারে নিরুৎসাহিত করতে চায় না। তারা চায় বৈধভাবে এপির সংবাদ ব্যবহার করা হোক।এপি গত সপ্তাহে ড্রুজ রিটর্ট নামের একটি ব্লগের স্রষ্টা রজার্স ক্যাডেনহেডের বিরুদ্ধে কপিরাইট ভাঙার অভিযোগে লিগ্যাল নোটিশ পাঠায়। নোটিশে ব্লগটি থেকে অবৈধভাবে ব্যবহূত কয়েকটি সংবাদ প্রতিবেদন সরাতে বলা হয়। এ ঘটনার পর সাধারণ ব্লগাররা এপির সমালোচনায় মুখর হয়ে ওঠে। এর জবাবে এপি জানায়, তারা ব্লগে তাদের সংবাদ ব্যবহারের ওপর একটি নির্দেশনা তৈরি করার চেষ্টা চালাচ্ছে। এতে আরও খেপে যায় ব্লগাররা। মাইকেল অ্যারিংটন তাঁর টেকক্লাঞ্চ ব্লগে লেখেন, ‘এপি তার সংবাদ কীভাবে অনলাইনে ব্যবহূত হবে, সে বিষয়ে তাদের নিজস্ব নিয়ম তৈরি করতে পারে না।’পরে এপি এ নিয়ে আলোচনায় বসার সিদ্ধান্ত নিলে রাগ কমে ব্লগারদের। হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের বার্কম্যান সেন্টার ফর ইন্টারনেট অ্যান্ড সোসাইটির ফেলো ওয়েন্ডি সেল্টজার বলেন, এটা আশাব্যঞ্জক যে এপি তাদের সংবাদ কীভাবে ব্লগে ব্যবহূত হবে তা নিয়ে ব্লগারদের সঙ্গে একটি মতৈক্যে পৌঁছতে চাইছে। তবে তিনি ব্লগারদের সতর্ক করে দিয়ে বলেন, আইনে যে অনুমতি আছে তার বাইরে যাওয়াটাও ঠিক হবে না।এপির জিম কেনেডি জানান, এপির কঠিন কোনো নিয়ম তৈরির ইচ্ছে নেই। ব্লগারদের কেবল সতর্ক করে দেওয়ার জন্য তারা লিগ্যাল নোটিশ পাঠাচ্ছে। ক্যাডেনহেডের বিরুদ্ধে আর কোনো আইনি ব্যবস্থা এপি নিচ্ছে না। ক্যাডেনহেডও এপির দাবি মেনে নিয়েছে।তিনি বলেন, এপির সংবাদ কীভাবে ব্যবহূত হবে তা নিয়ে তাদের সাংবাদিকতা ও ব্যবসায়িক উভয় স্বার্থ থেকে উদ্বেগ রয়েছে।