প্রযুক্তির ধারাবাহিক উন্নয়নের মাধ্যমে অদূর ভবিষ্যতে রোবট মানুষের বুদ্ধিমত্তার উন্নয়ন ঘটাতে সক্ষম হয়ে থাকবে। সম্প্রতি এক গবেষণায় প্রাপ্ত ফলাফলে দেখা গেছে, ক্ষুদ্রাকৃতির রোবট যাকে ইন্টিলিজেন্ট ন্যানোবোটস নামে অভিহিত করা হচ্ছে তা ২০২৯ সালের মধ্যে মানুষের শরীরের অভ্যন্তরে বিশেষ করে মস্তিষ্কের অভ্যন্তরে স্থাপনের মাধ্যমে মানুষের বুদ্ধিমত্তার উন্নয়ন ঘটানো সম্ভব। যার মাধ্যমে একজন মানুষ প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে অধিক স্মৃতি ধারণক্ষমতাসম্পন্ন এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণে সক্ষমতা বৃদ্ধি করতে নিজেকে সক্ষম হিসেবে গড়ে তুলতে পারবে। একই সাথে এ গবেষণায় নিযুক্ত গবেষক রে কুর্জ ওয়েল জানান, ‘আমরা এমন একধরনের ন্যানোবোটস তৈরি করছি যা ব্রেণের অভ্যন্তরে স্থাপনের মাধ্যমে একজন মানুষের বায়োলোজিক্যাল নিউরণের সাথে সরাসরি সমন্নয় সাধনের মাধ্যমে ব্যক্তিজীবনে বুদ্ধিমত্তা এবং সুস্বাস্থ্যের কারণ হিসেবে ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবে।’ গবেষণায় দেখানো হয়েছে ন্যানোবোটসটিকে হার্ডওয়্যার এবং সুনির্দিষ্ট সফটওয়্যারের মাধ্যমে এমনভাবে প্রস্তুত করা হচ্ছে যা মানুষের কৃত্রিম বৃদ্ধিমত্তা বৃদ্ধিতে সহায়ক ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবে। যার ধারাবাহিকতায় আশা করা যায় ২০২৯ সালের মধ্যে মানবিক গুণাবলী সমৃদ্ধ ক্ষুদ্রাকৃতির রোবট মানব জাতির কল্যাণে কাজ করতে পারবে। এই ন্যানোবোটসের কাজ সম্বন্ধে আরো পরিষ্কার করে জানান সংশ্লিষ্ট গবেষক কুর্জ ওয়েল, ‘এ ন্যানোবোটস আমাদেরকে ভবিষ্যতে আরো স্মার্ট, যেকোনো জিনিস মনে রাখতে স্মরণশক্তি বৃদ্ধি করতে কাজ করবে যা মানব দেহের নার্ভাস সিস্টেমের মাধ্যমে পরিচালিত হবে। তবে এ কাজটি সহজসাধ্য নয়, যার কারণে এখনো মানব দেহের নাইট্রোজেন সাইকেল, কার্বন সিস্টেমের উন্নয়ন, রিভার্স ইঞ্জিনিয়ার ব্রেন এবং ভার্চ্যুয়াল রিয়েলিটি উন্নয়ন ঘটানোর পাশাপাশি স্বাস্থ্য সংশ্লিষ্ট মানবদেহের উন্নয়নে মেশিনের কার্যক্রম পরিচালনার কৌশল তৈরি করা হচ্ছে।’ ইতিপূর্বে রোবটের মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের কাজ করার সক্ষমতা তৈরি হলেও এই গবেষণায় প্রাপ্ত ফলাফলের ভিত্তিতে অদূর ভবিষ্যতে মানুষের কল্যাণের উদ্দেশ্যে সরাসরি মানব দেহের অভ্যন্তরে মেশিন স্থাপনের মাধ্যমে মানুষের দৈনন্দিন কর্মকান্ডে অধিক গতিশীলতা আনতে সক্ষম হবে। সেই সাথে মানুষের এবং মেশিনের যুগপৎ অংশগ্রহণ মানব সমাজের জন্য যুগান্তকারী পরিবর্তন আনয়নে সচেষ্ট হবে। কেননা বুদ্ধিমত্তা বৃদ্ধি এবং সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করবে এই ন্যানোরোবট। ন্যানোরোট এর মাধ্যমে ভবিষ্যতে মানবদেহে মনুষ্যত্ব বিশিষ্ট কার্যক্রমের উন্নয়ন সাধনের মাধ্যমে অদূর ভবিষ্যতে মানুষ অধিক কার্যক্ষম এবং স্মৃতিশক্তি বিশিষ্ট সুস্বাস্থ্যের অধিকারী হতে পারবে বলে গবেষকরা আশা করেন।



