এত দিন হলিউডের বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনীনির্ভর ছবিতে দেখা যেত, কাপড় ভেদ করা ক্যামেরার তাক লাগানো প্রযুক্তি। এবার বাস্তবেই দেখা যাবে এমন দৃশ্য। কারণ এমন একটি ক্যামেরা উদ্ভাবন করা হয়েছে, যা দিয়ে ২৫ মিটার দুর থেকেও শরীরে পোশাকের ভেতর লুকিয়ে রাখা বিস্কোরক, মাদক ও অস্ত্র দেখা যাবে। এ প্রযুক্তির নাম রাখা হয়েছে ‘থ্রুভিশন সিস্টেম’। বিমানবন্দর, রেলস্টেশন ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ জনসমাগমের জায়গায় এ ক্যামেরা বসানো হতে পারে।‘থ্রুভিশন সিস্টেম’ গড়ে উঠেছে টেরাহার্জ বা টি-রে প্রযুক্তিকে নির্ভর করে। মৃত নক্ষত্র নিয়ে গবেষণায় মহাকাশচারীরা সাধারণত এ প্রযুক্তি ব্যবহার করেন। থ্রুভিশনের এক মুখপাত্র জানান, এ ক্যামেরায় পোশাকের ভেতর দিয়ে দেখা গেলেও শরীরের বিস্তারিত প্রকাশ পায় না। এ ক্যামেরা ব্যবহারে কোনো ক্ষতিকর বিকিরণও হয় না।দুবাই মার্কেন্টাইল এক্সচেঞ্জ ও লন্ডনের ক্যানারি হোয়ার্ফ ইতিমধ্যেই এই বহনযোগ্য ক্যামেরা কিনেছে। এ সপ্তাহের শেষের দিকে অনুষ্ঠেয় একটি প্রদর্শনীতে এ ক্যামেরাটি প্রদর্শন করা হবে।বর্তমানে নিরাপত্তাব্যবস্থায় এক্স-রে প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়। কিন্তু থ্রুভিশন প্রযুক্তিতে টেরাহার্জ রশ্মি প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়। এ রশ্মি কাপড়, কাগজ, সিরামিক ও কাঠ ভেদ করতে পারে কিন্তু পানি ও ধাতব পদার্থ ভেদ করতে পারে না। এ রশ্মিকে নিয়ন্ত্রণ করে এবং এর মাধ্যমে একটি ছবি দাঁড় করিয়ে এ ক্যামেরাটি উদ্ভাবন করা হয়েছে।গবেষকেরা জানান, টেরাহার্য রশ্মি দিয়ে দেখলে একেক পদার্থ একেক রকম উজ্জ্বলতায় দেখা যায়। আর এর মাধ্যমে একটি ছবি দাঁড় করানো হয়। এক্স-রে নিরাপত্তাব্যবস্থার সঙ্গে ক্ষতিকর বিকিরণের সম্পর্ক থাকলেও টেরাহার্জ রশ্মির ক্ষেত্রে তা নেই।থ্রুভিশন জানায়, তাদের টি৫০০০ মডেলের ক্যামেরাটি কক্ষের ভেতর বা খোলা আকাশের নিচে দুই জায়গাতেই ব্যবহার করা যায়।টেরাভিউ নামের আরেকটি কোম্পানি টেরাহার্জ প্রযুক্তি ব্যবহার করে আরেকটি যন্ত্র উদ্ভাবন করেছে, যা ওষুধ কোম্পানিতে বিভিন্ন উপাদানের গঠন পরীক্ষায় ব্যবহূত হচ্ছে।