মার্কিন চিকিৎসক ডা. হাওয়ার্ড স্টার্কের চেম্বার এখন খালি। চেম্বারে রোগীদের অপেক্ষা করার কক্ষটিতে আর কোনো রোগী এখন অপেক্ষা করে না। টেলিফোনে কথা বলার জন্য নেই কোনো অভ্যর্থনাকারী। হাওয়ার্ড ও তাঁর সহকারী মাইকেল নরিস বেল এখন ল্যাপটপ কম্পিউটারে রোগীদের পাঠানো ই-মেইল পরীক্ষা করেন। রোগীরা তাদের সমস্যা লিখে তাঁর কাছে মেইল করে। ব্যবস্থাপত্র লিখে তাঁরা আবার রোগীর কাছে পাল্টা ই-মেইল পাঠান। দুই বছর আগে ওয়েবভিত্তিক প্রাকটিস শুরু করার পর ডা. হাওয়ার্ড রোগীদের কাছ থেকে এ পর্যন্ত ১৪ হাজার ই-মেইল পেয়েছেন। মেইলের উত্তর পাঠানোর জন্য তিনি কোনো ফি নেন না। ব্যবস্থাপত্র দেওয়ার পাশাপাশি তিনি রোগীদের ব্যক্তিগত ও পারিবারিক অবস্থা সম্পর্কেও খোঁজখবর নেন। এর ফলে রোগীদের সঙ্গে তাঁর একটি আন্তরিক সম্পর্ক গড়ে উঠেছে।

হাওয়ার্ড বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের চিকিৎসাব্যবস্থা আমার পছন্দ নয়। রোগীর সঙ্গে আন্তরিক সম্পর্ক না হলে তার রোগ সম্পর্কে ভালোভাবে জানা যায় না। তাই আমি চিকিৎসা দেওয়ার জন্য ইন্টারনেটের আশ্রয় নিয়েছি। মার্কিন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা হাওয়ার্ডের সঙ্গে একমত। তাঁরা বলেছেন, মার্কিন চিকিৎসাব্যবস্থার উন্নয়ন প্রয়োজন। হাওয়ার্ড বলেন, এখানে ডাক্তারের ফি অনেক বেশি এবং তাঁরা একজন রোগীকে ১০ মিনিটের বেশি সময় দেন না। এখানকার ডাক্তাররা সকাল সাতটা থেকে সন্ধ্যা সাতটা পর্যন্ত রোগী দেখেন। কীভাবে সময় বাঁচাতে হয়, সেটা শেখারও সময় তাঁদের নেই।