বিশ্বজুড়ে ইন্টারনেটের মাধ্যমে সম্পৃক্ত হওয়া জনগোষ্ঠির সংখ্যা দিন দিনই বেড়ে চলেছে। বিশেষ করে অনলাইনে সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং ওয়েবসাইটসমূহের জনপ্রিয়তা দিনদিন বৃদ্ধির ফলে ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পেয়ে চলেছে অধিক সংখ্যক মানুষের অনলাইনে সোশ্যাল নেটওয়ার্কিংয়ের নিজেদের সম্পৃক্ত করার প্রবণতা। অনলাইনে মূলত সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটসমূহে নিজেদের পরিচিত করণের লক্ষ্যে ব্যক্তিগত তথ্যসমূহ উপস্থাপন করতে হয়। কেননা, এর মাধ্যমে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে থাকা অগণিত মানুষের নিকট অনলাইনে নিজস্ব সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং গড়ে তোলা সম্ভব। কিন্তু অনলাইনে ব্যক্তিগত তথ্যপ্রদানের মাধ্যমে বিশ্বজুড়ে তথ্যের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা অনেকক্ষেত্রেই সম্ভব হয়ে উঠেনা। এর অন্যতম কারণ হিসেবে হ্যাকার কর্তৃক তথ্য চুরির প্রবণতাকে বিবেচনা করা হয়ে থাকে। অনেক সময় হ্যাকাররা বিশ্বজুড়ে সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং এর আওতায় নিবন্ধিত ব্যক্তিসমূহের উপস্থাপিত ব্যক্তিগত তথ্যসমূহ হ্যাক করার মাধ্যমে ক্ষতি সাধন করে থাকে। ব্যক্তিগত তথ্য চুরির মাধ্যমে বিশেষত একজন ব্যক্তির ব্যাংক একাউন্ট এবং অন্যান্য গোপনীয় তথ্যের গোপনীয়তা প্রকাশ পাওয়ার কারণে একজন ব্যক্তি আর্থিক এবং মানসিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়ে থাকেন। তবে অনলাইনে নিজের ব্যক্তিগত তথ্যসমূহ প্রদানের ক্ষেত্রে কিছু কিছু সাবধানতা অবলম্বনের মাধ্যমে এই সকল প্রতিবন্ধকতা দূর করা সম্ভব। বিশেষত একজন ব্যক্তি যদি তার ব্যবহৃত কম্পিউটারে সবসময় সিকিউরিটি সফটওয়্যার আপডেট করে এবং অনাকাংক্ষিত ব্যক্তির নিকট নিজের গোপনীয় তথ্য বিশেষ করে ব্যাংক একাউন্টের নম্বর শেয়ার না করে তবে অনেকাংশে অনলাইনে তথ্যের নিরাপত্তা অক্ষুন্ন রাখা সম্ভব। সেই সাথে সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং ওয়েবসাইটসমূহে তথ্যপ্রদানের ক্ষেত্রে শুধুমাত্র সেই সকল ওয়েবসাইটে প্রবেশের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য ব্যক্তিগত তথ্যসমূহ প্রদান করা উচিত। অনলাইন ভিত্তিক কার্যক্রম পরিচালনার জন্য ক্রেডিট কার্ডের ব্যবহার করা প্রয়োজন হলে ব্যবহারের পর সবসময় ক্রেডিট কার্ড এবং ব্যাংক স্টেটমেন্ট পরীক্ষা করা দরকার। কেননা ক্রেডিট কার্ডে ব্যবহৃত তথ্য হ্যাকারদের নিকট সবচেয়ে আকর্ষণীয় বিষয়।