সারা বিশ্বজুড়ে অগণিত গেমপ্রিয় মানুষদের কল্যাণে জাপানে তৈরি হয়েছে বিশেষ ধরনের ওষুধ। এর মাধ্যমে দীর্ঘক্ষণ গেম খেলে অভ্যস্ত ব্যক্তিরা তাদের চোখ এবং ব্রেনের বিশেষ যতœ নিতে সক্ষম হবে। এই ওষুধটি তৈরির অন্যতম উদ্দেশ্য হচ্ছে, দীর্ঘক্ষণ গেম খেলার ফলে প্রতিবছরই অগণিত মানুষ তাদের চোখের এবং ব্রেনের বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হয়ে থাকার কারণে যে সকল ক্ষতির সম্মুখীন হয়ে থাকে তা সমাধান করা। জাপানে তৈরি হওয়া গেমপ্রিয়াসীদের জন্য ‘গেম সাপলি’ নামে এই ওষুধটি ইতোমধ্যেই বাজারে ছাড়া হয়েছে। তবে বাজারে ছাড়ার পূর্বে প্রায় এক হাজার ব্যক্তির উপর ওষুধটি ব্যবহার করে দেখা গেছে যে, এই ওষুধটি অধিক সময়ব্যাপী যেসকল ব্যক্তি গেম খেলে থাকে তাদের ব্রেনের এবং চোখের উন্নতি ঘটাতে সক্ষম হয়েছে। অর্থাৎ এই ওষুধটি ব্যবহারের মাধ্যমে একজন ব্যক্তি দীর্ঘক্ষণ গেম খেলার কারণে চোখের এবং ব্রেণের যে ক্লান্তি অনুভব করে তা পূরণ করতে সক্ষম হয়ে থাকে। ফলে শারীরিকভাবে নিজেদের প্রাণবন্ত করে তুলতে সক্ষম হয় একজন ব্যক্তি। জাপানে দীর্ঘদিন ধরেই অগণিত মানুষ বিশেষ করে তরুণ প্রজন্মের নিকট কম্পিউটার গেম খুবই জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। সেই সাথে দীর্ঘ সময় গেম খেলার কারণে সমগ্র জাপান জুড়েই অধিক সংখ্যক মানুষ ক্রমান্বয়ে চোখের এবং ব্রেনের বিভিন্ন সমস্যায় আবর্তিত হয়ে চলেছে। এই সকল সমস্যার সমাধানের উদ্দেশ্যে দীর্ঘদিন ধরেই গবেষণার মাধ্যমে সমাধানের উপায় খুঁজতে ব্যস্ত ছিল গবেষকরা। সম্প্রতি উদ্ভাবিত এই ওষুধটি শুধু জাপান জুড়েই নয়, সারা বিশ্বজুড়েই জনপ্রিয়তা অর্জন করতে পারবে বলে আশা প্রকাশ করেছে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানটি। কুওয়া-ইয়াকুহিন নামক প্রতিষ্ঠানটি গেম সাপলি ওষুধটি বাজারে ছাড়ায় খুশি জাপানের অগণিত গেমপ্রিয় ব্যক্তিরা। এই ওষুধটি দু’ভাবে কাজ করে প্রথমত এটি চোখের ক্লান্তি বিশেষ করে স্নায়ুকে উত্তেজিত করতে সক্ষম হয় এবং এর ট্রান্সপারেন্ট ক্যাপসুলে রক্ষিত ডকসো হেকসা সনিক এসিড একজন ব্যক্তির ব্রেনের ক্লান্তিকে দূর করার মাধ্যমে মনোযোগ বৃদ্ধি করতে সক্ষম হয়ে থাকে। ফলে দীর্ঘক্ষণ ধরে গেম খেলে ক্লান্ত ব্যক্তিরা এই ওষুধটি সেবনের মাধ্যমে তাদের ক্লান্তি দূর করতে সক্ষম হয় এবং অধিক পরিমাণ গেম খেলার ক্ষেত্রে মনোযোগ বৃদ্ধি করতে নিজেদের মনোনিবেশ করতে পারে। অদূর ভবিষ্যতে এই ওষুধটি ব্যাপক প্রসার লাভ করতে সক্ষম হবে বলে তৈরিকারক প্রতিষ্ঠানটি আশাবাদ ব্যক্ত করেছে।