র্যাফেল স্যাবাটিনির উপন্যাসে ক্যাপ্টেন ব্লাড যার প্রকৃত নাম ডক্টর পিটার ব্লাড একজন আইরিশ ডাক্তার যাকে মৃত্যুদন্ডে দন্ডিত করা হয় যুদ্ধক্ষেত্রে আহত বিদ্রোহীদের সেবা দেওয়ার অপরাধে। যদিও ডাক্তার পিটার ব্লাডের বিদ্রোহীদের সাথে সংশ্লিষ্টতার কোন প্রমাণ নেই। এমনকি তিনি নিজেও রাজার বিরুদ্ধে বিদ্রোহমূলক কোন কাজ করেননি। আত্মপক্ষ সমর্থনের কোন সুযোগ না দিয়ে রাজা কোমড়ে দড়ি বেঁধে হাত পা বেঁধে ব্লাড সহ আরো কিছু বন্দিকে ক্যারাবিয়ান অঞ্চলে দাস হিসেবে বিক্রি করার জন্য পাঠিয়ে দিলেন। কিন্তু বন্দিদশা থেকে ব্লাড কৌশলে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয় আর ক্যারাবিয়ান অঞ্চল পরিণত হয় ক্যাপ্টেন ব্লাড নামে।
সিউলফ ডেভেলপার ক্যাপ্টেন ব্লাডকে নিয়ে যে গেম ডেভেলপ করেছে তার নামই হচ্ছে এজ অব পাইরেট : ক্যাপ্টেন ব্লাড। নিশ্চয়ই এতক্ষণে বুঝে গেছেন র্যাফেল স্যাবাটিনির উপন্যাসের চরিত্রকে কেন্দ্র করেই তৈরি হয়েছে গেমিং জগতের ক্যাপ্টেন ব্লাড। ক্যাপ্টেন ব্লাড হয়ে আপনার দায়িত্ব ব্রিটিশ আর স্প্যানিশ সৈন্যদের জাহাজ আক্রমণ করে লুণ্ঠন। প্রতিযোগি অন্যান্য জলদস্যুদেরও আক্রমণ করে পরাস্ত করতে হবে। আক্রমণের জন্য মাত্র দু’টি বাটন ব্যবহার করতে হবে তাই গেমটি খেলার কন্ট্রোল তুলনামূলকভাবে খুবই সহজ। আর সামনা সামনি সম্মুখ যুদ্ধ হঠাৎ উপস্থিত হলে ব্যবহার করতে পারবেন একটি পিস্তল। আর দু’টি আক্রমণ বাটনকে একসাথে ব্যবহার করে দুর্ধর্ষ আক্রমণ করতে পারবেন শত্রুর বিপক্ষে। আরো উত্তেজনা হবে যখন সামনা সামনি কোন শত্রুর বুকে ঝাপ দিয়ে তাকে পরাস্ত করে তলোয়ারের মাধ্যমে শত্রুর হৃৎপিন্ডে আঘাত করে দিতে পারবেন। পিস্তলের রেঞ্জ আর ব্যবহার অবশ্য কিছুটা সীমাবদ্ধ। অটোট্রিগার সিস্টেম বলে কিছু নেই। আপনাকে সতর্ক থাকতে হবে পিস্তলের ট্রিগার ধরে যেন শত্রুর সম্মুখীন হলে আপনি দ্রুত ট্রিগার চাপতে পারেন। পিস্তলে গোলাবারুদ রয়েছে অসংখ্য, তবে একবার গুলি করার পর দ্বিতীয়গুলি লোড হতে কমপক্ষে বিশ সেকেন্ড সময় লাগবে। আর শত্রুর বুকে ঝাপ দিয়ে বধ করার সুুযোগ তখনই পাবেন যখন স্ক্রিনে সে সুযোগ এসেছে দেখাবে। অর্থাৎ নিনজা গেইডেন ২-এর মত ততোটা ডাইনামিক গেম ক্যাপ্টেন ব্লাড নয়, এটি আপনাকে ছাড় দিতে হবে।
তবে একের পর এক সমুদ্র উপকূলে জাহাজ নিয়ে আক্রমণ করে নতুন উত্তেজনা প্রতি পর্বেই পাবেন এমনই নিশ্চিত করে বলা যায়। ইংরেজ আর স্প্যানিশ জাহাজে আক্রমণের সময় নিজেকে সত্যিকারের জলদস্যু বলেই মনে হবে।