যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় সরকার এবার কম্পিউটার হ্যাকারদের খোঁজে নেমে পড়েছে। না, তাদের বিচার করার জন্য নয়, বরং দেশের কম্পিউটার নেটওয়ার্কের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার ব্যাপারে সরকারকে সাহায্য করার জন্য তাদের খোঁজা হচ্ছে। হোমল্যান্ড সিকিউরিটি ডিপার্টমেন্টের পক্ষে তথ্যপ্রযুক্তিপ্রতিষ্ঠান জেনারেল ডাইনামিকস ইনফরমেশন টেকনোলজি গত মাসে পত্রপত্রিকায় একটি বিজ্ঞাপন দেয়। বিজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, মানুষের ক্ষতি করার মনোভাবসম্পন্ন প্রার্থীকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। প্রার্থীকে অবশ্যই হ্যাকারদের টুল ও কৌশল সম্পর্কে জানতে হবে। এ ছাড়া ইন্টারনেট ট্রাফিক বিশ্লেষণ করার যোগ্যতা থাকতে হবে। যুক্তরাষ্ট্রের তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা সম্প্রতি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন, সাইবার হামলা প্রতিরোধে যুক্তরাষ্ট্র পরিপূর্ণভাবে প্রস্তুত নয়। কেন্দ্রীয় সরকার কীভাবে ইন্টারনেটের নিরাপত্তা নিশ্চিত করছে, সে ব্যাপারে হোয়াইট হাউস ৬০ দিনের এক গবেষণা চালিয়েছে। গবেষণায় দেখা গেছে, সরকার সাইবার হামলা ঠেকাতে যেসব প্রস্তুতি নিয়েছে, তার অনেক ফাঁকফোকর রয়েছে। এতে করে হ্যাকাররা, বিশেষ করে বিদেশি হ্যাকাররা সহজেই মার্কিন কম্পিউটার নেটওয়ার্কে হামলা চালাতে পারছে এবং এতে করে জাতীয় নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। পেন্টাগনসহ অন্যান্য সরকারি কার্যালয়ের কম্পিউটার নেটওয়ার্কগুলো প্রায়ই হ্যাকারদের হামলার শিকার হচ্ছে। গত সপ্তাহে সরকারি একজন সাবেক কর্মকর্তা জানান, হ্যাকাররা মার্কিন বৈদ্যুতিক গ্রিড-সংক্রান্ত কম্পিউটার প্রোগ্রাম হ্যাক করেছে। পেন্টাগনের কর্মকর্তারা জানান, সাইবার হামলার কারণে ক্ষয়ক্ষতি পূরণে এবং প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণে তাঁরা গত ছয় মাসে ১০ কোটি ডলার ব্যয় করেছেন।



