কম্পিউটার ব্যবহারকারীদের সকলেই ভাইরাস আক্রান্তের ভয়ে ভীত। ভাইরাস ঠেকাতে নিরন্তর চেষ্ঠা সকলের। তবে শেষ নেই ভাইরাস আক্রমণের, নিত্য নতুন ভাইরাসও আবিস্কৃত হচ্ছে প্রতিনিয়তই। অসহ্য একটা ব্যাপার। ভাইরাসে যন্্রণায় অতিষ্ট সকলেই। তারপরও এর পদচারণা সারা বিশ্ব জুড়েই। ভাইরাসের এই অসহ্য যন্ত্রণা বাড়াতো আরো একটি নতুন ভাইরাস বের হয়েছে। নাম তার কনফ্লিকার। নতুন এই ভাইরাসের স্বভাবটা অন্য ভাইরাসগুলো থেকে একটু ভিন্ন। কারণ ভাইরাসটি নাছোরবান্দা স্বভাবের। নাছোরবান্দা বলার কারণ হচ্ছে ভাইরাসটিকে যতই রিমুভ করেন সে যে ফিরে ফিরে আসবে। কম্পিউটারের ক্ষতিকারক নতুন এই কীট কম্পিউটারের সব কিছু নষ্ট করার ক্ষমতা রাখে। তবে একে একেবারে বিধ্বংসী বলা যাবে না। তার কারণ হচ্ছে যদি একজন ব্যবহারকারী ভাইরাসটিকে প্রশ্রয় দেয় তবে ভাইরাসটিও পূর্ণ আশ্রয় নিবে। আর যদি ব্যবহারকারী একটু সতর্ক থাকে তবে ভাইরাস খুব বেশি ক্ষতি সাধন করতে পারবে না। ২০০৮ সালে সর্ব প্রথম কনফ্লিকার ভাইরাসটি কম্পিউটারে আঘাত হেনেছিল। এবার আরো নিত্যনতুন সব ফিচার নিয়ে আবারও ভাইরাসটি তার আক্রমণ শুরু করেছে। ভিয়েতনামের এন্টিভাইরাস ফর্ম বিকিসের মতে ১.৩ মিলিয়ন কম্পিউটার কনফ্লিকার ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। তবে তাদের ভাষ্যমতে কনফ্লিকার এ ও কনফ্লিকার বি ভাইরাসেই ২.২ মিলিয়ন কম্পিউটার এই ভাইরাসের দ্বারা ক্ষতিগ্রস্খ হয়। কনফ্লিকার আসলে যেভাবে ছড়ানোর কথা ছিল ছিক সেভাবে না ছড়িয়ে একটু ভিন্নরূপেই তার আক্রমণ শুরু করে। ভিয়েতনাম হতেই শুরু হয় কনফ্লিকার ভাইরাসের আক্রমণ। আর বেশির ভাগ ক্ষতিগ্রস্খ কম্পিউটারই ভিয়েতনামের। তবে অন্যান্য দেশেও কনফ্লিকার ভাইরাসের আক্রমণ কম যায়নি। তবে অন্যান্য দেশগুলোতে ভাইরাসটি তার কালো রূপটি প্রকাশ করতে পারেনি। কারণ ভিয়েতনাম ছাড়া প্রায় প্রত্যেকটি দেশের কম্পিউটার ব্যবহারকারীই প্রচুর সচেতন ছিল এই ভাইরাসের ব্যাপারে। তবে সচেতনতার রক্ষণবুথ পার হয়েও বিভিন্ন কম্পিউটারে আঘাত হানে কনফ্লিকার। ভাইরাসটির গতিবিধি ছিল খুবই দুর্দান্ত। আর ভাইরাসের কার্যক্রমও শেষ হয়নি এখনো। আর সেজন্যই আমাদেরকে আরো সচেতন হওয়া দরকার। মূলত ভাইরাসটি বর্তমানে ইন্টারনেটের মাধ্যমেই বেশি প্রভাব বিচ্চার করছে। মূলত কনফ্লিকার এ কনফ্লিকার বি কনফ্লিকার সি ইন্টারনেটের মাধ্যমে একজনের কম্পিউটারের শেয়ারিং ফাইলে বা ফোল্ডারে প্রতম আঘাত হানছে। আর ধীরে ধীরে প্রবাব বিচ্চার করছে পুরো কম্পিউটারে। শুধুতাই নয় ভাইরাসটি মূলত একই নেটওয়ার্কে থাকা সকল কম্পিউটারেই চোখের নিমিষে আঘাত করছে। ফলে সারাবিশ্বে খুবই দ্রুততার সাথে ভাইরাসটির কালো রূপ ছড়িয়ে পড়ছে। আসলে একই নেটওয়ার্কে থাকা সকল কম্পিউটারকেই ভাইরাসটি আক্রমণ করতে পারছে না। যে নেটওয়ার্কে আসলে রক্ষণবুদ গুলো জোরালো না। ঠিক সেইসব নেটওয়ার্কেই আকত্রমণটা বেশি হচ্ছে। তবে ভাইরাসের যন্ত্রণা হতে সকলকে মুক্তি দিতেও অনেক প্রতিষ্ঠানই কাজ করছে। ভাইরাস প্রতিরোধে ও রিমুভ করতে বিভিন্ন নিরাপত্তা প্যাচ বের হয়েছে অনলাইনে। আর অনলাইন থেকে বিনামূল্যেই নিরাপত্তা প্যাচগুলো ডাউনলোড করা যাচ্ছে। লিখে নিন নিরাপত্তা প্যাচ ডাউনলোড এড্রেস আর এখনি করে নিন ডাউনলোড। তবে এই টুলসগুলোর কিছু কিছু আছে যা ইন্সটল করা একটু ঝামেলার। সেক্ষেত্রে নিরাপত্তা প্যাচগুলো পেন ড্রাইভ এ নিয়ে আপনার পরিচিত কোন কম্পিউটারে ইন্সটল করার উদ্যোগ নিতে পারেন। নিরাপত্তা প্যাচগুলো আসলে দুধরণের কাজ করবে। এক আপনার কম্পিউটারের নিরাপত্তা বিধান আর যদি কনফ্লিকার আক্্রান্ত হয়ে থাকে তাহলে তা রিমুভ করা।

সৌজন্যে : মাসকি ই-বিজ