যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়া অঙ্গরাজ্যের সুপ্রিম কোর্ট গত শুক্রবার অবৈধভাবে স্প্যাম বা অনাকাঙ্ক্ষিত ই-মেইল পাঠানোর জন্য জেরেমি জেনেস নামের এক ব্যক্তিকে নয় বছরের কারাদন্ড দিয়েছেন। একই সঙ্গে সুপ্রিম কোর্ট এই রায় দিয়েছেন যে, অ্যান্টি-স্প্যামিং আইন মানুষের কথা বলার অধিকারকে লঙ্ঘন করছে না। যুক্তরাষ্ট্রের ৫০টি অঙ্গরাজ্যের সব কটিতে অ্যান্টি-স্প্যামিং আইন আছে। ২০০৩ সালে যুক্তরাষ্ট্র স্প্যামারদের যে তালিকা প্রকাশ করেছিল, সেই তালিকার প্রথম ১০ জনের মধ্যে জেরেমি জেনেসের নাম রয়েছে। রায় ঘোষণার পর ভার্জিনিয়ার অ্যাটর্নি জেনারেল বব ম্যাকডোনেল এক লিখিত বিবৃতিতে বলেন, ‘সাইবার অপরাধের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে এটা আমাদের ঐতিহাসিক বিজয়। অনাকাঙ্ক্ষিত মেইল ই-মেইলের ইনবক্সকে শুধু ভারাক্রান্তই করে না, এর কার্যক্ষমতাকেও নষ্ট করে দেয়। অনাকাঙ্ক্ষিত মেইল জনগণের সঙ্গে বঞ্চনাও করছে এবং অনলাইন নিরাপত্তাকে হুমকির মুখে ফেলছে।’ আদালতে জেনেসের বিচার চলার সময় কৌঁসুলিরা জানান, ২০০৩ সালের জুলাই মাসে মাত্র তিন দিনে জেনেস ৫৩ হাজার অনাকাঙ্ক্ষিত বা জাঙ্ক মেইল বিভিন্ন জনের অ্যাকাউন্টে পাঠিয়েছেন। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, লোকজনকে নাজেহাল করার জন্য তিনি এসব মেইল পাঠানোর সময় ছদ্মনাম এবং ভুয়া ইন্টারনেট ঠিকানা ব্যবহার করতেন। কৌঁসুলিরা আদালতে সেসব ই-মেইল উপস্থাপনও করেন। ভার্জিনিয়ার লুডন কাউন্টিতে আমেরিকান অনলাইনের একটি সার্ভারের মাধ্যমে জেনেস এসব মেইল পাঠান। এ কারণে ভার্জিনিয়ার আদালতে তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়।