এশিয়া-প্রশান্ত অঞ্চলে ইন্টারনেট ব্যবহারে শীর্ষ ৫টি দেশের কাতারে মালয়েশিয়া

দ্রুত পরিবর্তনশীল তথ্যপ্রযুক্তি শিল্পে ইন্টারনেট ব্যবহারের মাধ্যমে তথ্যপ্রযুক্তির সুফল সর্বস্তরে প্রতিষ্ঠিত করতে ইন্টারনেট ব্যবহার বৃদ্ধির লক্ষ্যে কাজ করে চলেছে উন্নত দেশসমূহ। এরই ধারাবাহিকতায় এশিয়া-প্রশান্ত অঞ্চলে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা দ্রুতহারে বৃদ্ধি পেয়ে চলেছে। এশিয়া-প্রশান্ত অঞ্চলে অবস্থিত দেশগুলোর মধ্যে মালয়েশিয়া জনসংখ্যার অনুপাতে শীর্ষ ইন্টারনেট ব্যবহারকারী দেশে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম হয়। ‘দ্য ইউনাইটেড ন্যাশনস ইকোনমিক এন্ড সোশ্যাল কমিশন ফর এশিয়া এন্ড দ্য প্যাসিফিক (ইউএন ইএসসিএপি) সম্প্রতি এ তথ্য জানিয়েছে। ইউএনইএসসিএপি’র তথ্যানুযায়ী জনসংখ্যার অনুপাতে এশিয়া-প্রশান্ত অঞ্চলের শীর্ষ পাঁচটি দেশ যথাক্রমে মালয়েশিয়া, নিউজিল্যান্ড, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া এবং সিংগাপুর। এই সকল দেশসমূহে জনসংখ্যার অনুপাতে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৫৫-৮০ শতাংশ। অপরদিকে এ অঞ্চলে জনসংখ্যার অনুপাতে ১ শতাংশের নীচে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা যে সকল দেশগুলো রয়েছে তার মধ্যে সর্বনিম্নের ৫টি দেশ হলো- মায়ানমার, তিমুর-লেসেথে, তাজাকিস্তান, বাংলাদেশ এবং কম্বোডিয়া। জরিপে দেখা গেছে, এশিয়া-প্রশান্ত অঞ্চলে জনসংখ্যার অনুপাতে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যার বিভাজন সাধিত হয়েছে উচ্চ আয় এবং স্বল্প আয়ের দেশ হিসেবে। সম্প্রতি ব্যাংককে অনুষ্ঠিত ইউএনইএসসিএপি’র বৈঠকে এই তথ্য প্রদানের পাশাপাশি এই অঞ্চল সমূহের বিভিন্ন দেশসমূহের ডিজিটাল ডিভাইড দূরীকরণে কর্মপন্থা নির্ধারণের লক্ষ্যে আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। ওয়ার্ল্ড সামিট অন দ্য ইনফরমেশন সোসাইটির ২০০৩ সালে প্রথম বৈঠকের পর এই অঞ্চলে দ্রুতহারে মোবাইল ফোন এবং ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে চলেছে। ইউএনইএসসিএপি-এর আলোচনায় এশিয়া-প্রশান্ত অঞ্চলে তথ্যপ্রযুক্তির উন্নয়নে অবকাঠমোগত উন্নয়নের বিষয়ে গুরুত্বারোপের পাশাপাশি আইসিটি’কে দুর্যোগ মোকাবেলায় ব্যবহারের লক্ষ্যে সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণের উপর গুরুত্বারোপ করা হয়।