প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে অগণিত বইপ্রেমীদের কল্যাণে তৈরি করা হয়েছে ‘ই-বুক’। মূলত এই ‘ই-বুক’ এর মাধ্যমে একজন ব্যক্তি অতি সহজেই যেকোন স্থানে অবস্থানের সময় সুনির্দিষ্ট জনপ্রিয় বইসমূহ পাঠ করার বদলে শ্রবণের মাধ্যমে জ্ঞান অর্জন করতে সক্ষম হবেন। ফলে সারাবিশ্বে প্রযুক্তির উন্মেষের ধারাবাহিকতায় রীতিমত বিপ্লব সাধন করা সম্ভব হয়েছে এই ‘ই-বুক’ এর মাধ্যমে। মূলত অনলাইন ভিত্তিক বিভিন্ন সাইটে এতদিন বই পড়ার সুযোগ থাকলেও এই ‘ই-বুক’ এর মাধ্যমে এখন সম্ভব হবে সেই সকল বইসমূহ শ্রবণ করার। ইলেকট্রনিক পেপার টেকনোলজির উপর ভিত্তি করে তৈরি করা এই ‘ই-বুক’-এ যেকোন বই অথবা তথ্যসমূহ শ্রবণ করা সম্ভব। ‘ই-বুক’ তৈরিকারক প্রতিষ্ঠান আমাজান-এর প্রতিষ্ঠাতা জেফ বেজস আশা প্রকাশ করেন, ‘এই প্রযুক্তির কল্যাণে সারাবিশ্বের মানুষ উপকৃত হবে বলে আশা করি। বিশেষ করে পর্যটক, ছাত্র এবং বৃদ্ধব্যক্তিরা এই ‘ই-বুক’র মাধ্যমে তাদের জ্ঞান পিপাসা মেটাতে সক্ষম হবে। ফলে অদূর ভবিষ্যতে এটি জনপ্রিয়তা অর্জন করতে সক্ষম হবে।’ যেকোন ব্যক্তি কাংখিত ভাষা নির্দিষ্ট করার মাধ্যমে অনলাইন ভিত্তিক প্রকাশিত লেখাসমূহ এর মাধ্যমে শ্রবণ করতে সক্ষম হবে। সেই সাথে সারাবিশ্বে বিগত কয়েক বছরে বিপুলভাবে জনপ্রিয়তা অর্জনকারী ‘ই-লাইব্রেরি’র সকল বইসমূহ শ্রবণ করার মাধ্যমে জ্ঞান অর্জন করতে পারবে। ‘ই-বুক’ তৈরিকারক প্রতিষ্ঠান আমাজান কর্তৃক তৈরিকৃত ১,২৬,৯৯৪টি কাইন্ডেলবুক ইতোমধ্যেই অনুধাবন করতে সক্ষম এই ‘ই-বুক’। ফলে বইপ্রেমী যেকোন ব্যক্তি প্রাথমিকভাবে ‘ই-বুক’র মাধ্যমে তা শ্রবণ করতে সক্ষম হবে। সেই সাথে অব্যাহত রয়েছে যেকোন প্রকাশিত বই-এর অনলাইন সংস্করণ এই ‘ই-বুক’ এর মাধ্যমে শ্রবণ করার প্রচেষ্টা। প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে উন্নতবিশ্বে জনগণের কল্যাণে নিত্যনতুন প্রযুক্তির উন্মেষ ঘটানোর অব্যাহত প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে বইপ্রেমী ব্যক্তিদের কল্যানে তৈরি করা হয়েছে এই ‘ই-বুক’। যা আগামীতে মুদ্রণশিল্পের বিকল্প হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হবে বলে আশা করা যাচ্ছে।