আজকাল রাস্তাঘাটে সচরাচর দেখা মেলে ইলেকট্রনিক বা ডিজিটাল বিলবোর্ডের বিজ্ঞাপন। নানা রকম পণ্যের লোভনীয় পসরা পথচলতি মানুষকে দেখানোই এর কাজ। যুক্তরাষ্ট্রেও এর ব্যবহার ব্যতিক্রম ছিল না এত দিন। কিন্তু সম্প্রতি আলবামা অঙ্গরাজ্যের মানুষজন সেখানের বিলবোর্ডগুলোতে গদবাঁধা জিভে জল আনা হ্যাম বার্গারের বিজ্ঞাপনের বদলে দেখতে শুরু করে এক ব্যাংক ডাকাতকে ধরিয়ে দেওয়ার বিজ্ঞপ্তি।
২১ বছর বয়সী অস্কার ফিংক নামের এই ব্যক্তি গত মাসে আলবামায় এক ব্যাংক ডাকাতির সঙ্গে জড়িত ছিল। অপরাধ সংঘটনের এক সপ্তাহ পরে পুলিশ অস্কারের ছবি সংগ্রহ করে আলবামার ১২টি ডিজিটাল বিলবোর্ডে ছবিসহ বিজ্ঞাপন দিয়ে দেয়। বিজ্ঞাপনে ছিল অপরাধীর ছবি, নাম, অপরাধের কথা এবং পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করার ফোন নম্বর।
এ ধরনের প্রযুক্তির বিজ্ঞাপন যে কত দ্রুত কাজ দেয় তা বোঝা যায় প্রচারের পরদিনই। অস্কার আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হয়। অপরাধীদের সন্ধান চেয়ে বিজ্ঞাপন দেওয়ার প্রচলন সেই বুনো পশ্চিমের ‘ওয়েস্টার্ন’ যুগ থেকেই প্রচলিত। সে সময় অপরাধীদের স্কেচ করা ছবিযুক্ত পোস্টার বিভিন্ন দালানকোঠা, গাছের গায়ে সেঁটে দেওয়া হতো। তার পরের প্রজন্েন এফবিআই অপরাধীদের ধরতে ছাপানো পোস্টার লাগিয়ে দিত বিভিন্ন ডাকঘরের দেয়ালে দেয়ালে। আর বর্তমানে ডিজিটাল বিলবোর্ডের কল্যাণে অপরাধীদের ছবি পুলিশ অপরাধ সংঘটনের অনেকটা সঙ্গে সঙ্গেই প্রদর্শন করতে পারছে। হাজারো লোকের মধ্যে অপরাধীর ছবি বিতরণ করার সবচেয়ে দ্রুত মাধ্যমই হচ্ছে এটি।
ল্যামার অ্যাডভার্টাইজিংয়ের মহাব্যবস্থাপক ট্রয় টাটুম বলেন, ‘আমরা অপরাধীর ছবি পাওয়ার ১৫ মিনিটের মধ্যে সেগুলোকে বিলবোর্ডে প্রদর্শন করতে পারি।’ উল্লেখ্য, লুইজিয়ানাভিত্তিক এই ল্যামার অ্যাডভার্টাইজিং আলবামা অঙ্গরাজ্যে জনসেবা করার লক্ষ্যে বিনামূল্যে এ ধরনের বিলবোর্ড বিজ্ঞাপনের সুবিধা দিয়ে থাকে। ১৪ ফুট লম্বা ও ৪৮ ফুট প্রস্েথর এ বিলবোর্ডগুলো সম্পুর্ণ রঙিন প্রচারণা চালাতে সক্ষম। সিএনএন অবলম্বনে