সারাবিশ্বে অরগানিক ডিসপ্লে তৈরিতে কোম্পানিসমূহের মধ্যে চলছে তুমুল প্রতিযোগিতা। এরই ধারাবাহিকতায় দক্ষিণ কোরিয়ান ডিসপ্লে স্ক্রিন তৈরিকারক প্রতিষ্ঠান স্যামসাং এসডিআই কর্পোরেশন সম্প্রতি ৩১ ইঞ্চি আল্ট্রা-থিন অরগানিক স্ক্রিন তৈরি করেছে। স্যামসাং এর এই ঘোষণা সনি কর্পোশনের ১১ ইঞ্চি ওএলইডি টিভির জবাব হিসেবে এলো বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। যা গত নভেম্বর থেকে বিক্রি করা শুরু হয়েছে সনি। জাপানিজ কোম্পানিটি এর আগে ২৭ ইঞ্চি প্রোটোটাইপ ওএলইডি টিভি প্রদর্শন করেছিল। সাম্প্রতিক সময়ে ফ্ল্যাট স্ক্রিন টিভি নির্মাতারা একটিভ ম্যাট্রিক্স অর্গানিক লাইট-এমিটিং ডায়োড (এএম-ওএলইডি) এর উপর জোর দিচ্ছেন। কারণ ঝকঝকে ছবি এবং কম বিদ্যুৎ খরচের কারণে এই প্রযুক্তিটি ক্রমশই জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। তবে স্যামসাং এসডিআই এর অফিসিয়াল কর্মকর্তারা কবে থেকে এই ৩১ ইঞ্চি ওএলইডি টিভির বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরু করবেন তা জানাতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন। তারা বলেছেন, এই ব্যাপারে সিদ্ধান্তটি পুরোপুরিই নির্ভর করছে টিভি সেট নির্মাতাদের পরিকল্পনার উপর। তবে জানুয়ারিতে যুক্তরাষ্ট্রের লাস ভেগাসে কাস্টমারদের জন্য অনুষ্ঠিত ইলেক্ট্রনিক্স শো’তে ৩১ ইঞ্চি প্রোটোটাইপ টিভিটি প্রদর্শন করা হবে। এই ঘোষনার পাশাপাশি স্যামাসং এসডিআই ১৪ ইঞ্চি টিভির ব্যাপক উৎপাদন শুরু করতে যাচ্ছে এ বছরই। এ তথ্য জানিয়েছেন স্যামসাং এসডিআই এর এএম-ওএলইডি টিমের প্রধান ইয়ো ইয়ু জিন এই নতুন টিভিটির প্রদর্শনী উপলক্ষ্যে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে। যদিও ইয়ো সে সমস্ত কোম্পানির নাম বলেননি যারা এএম-ওএলইডি স্ক্রিন ব্যবহার করতে যাচ্ছে। তবে কয়েকটি কোম্পানি এক্ষেত্রে আগ্রহ দেখিয়েছে। ৩১ ইঞ্চি এই টিভিটি ৪.৩ মিমি পাতলা বা সাধারণ এলসিডি’র এক দশমাংশ এবং ৩২ ইঞ্চি এলসিডি টিভির তুলনায় অর্ধেক বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী। এই টিভির লাইফস্প্যান ৩৫,০০০ ঘন্টা। যা বর্তমান এএম-ওএলইডি’র মধ্যে সেরা। যেখানে ছোট সাইজের এএম-ওএলইডি ইতিমধ্যে প্রিমিয়াম মোবাইল ফোন এবং মিডিয়া প্লেয়ারে ব্যবহৃত হচ্ছে। বড় সাইজের মডেলগুলো তৈরি করা কষ্টসাধ্য এবং খরচের ব্যাপার। সনি ১১ ইঞ্চি ওএলইডি টিভি প্রতি মাসে ২,০০০ ইউনিট বিক্রি করবে। তোশিবা এই প্রযুক্তি ব্যবহার করবে ২০০৯-১০ সালে।