সব সময় নতুন গেমস খেলতে ভালো লাগে না। তখন একটু স্নৃতি হাতড়ে পুরোনো গেমসকে বাক্স থেকে তুলে আনতে হয়। আর কিছু কিছু জিনিস কখনোই পুরোনো হয় না। এ ধরনের একটি চলচ্চিত্র হচ্ছে স্টার ওয়ার্স। জর্জ লুকাসের বানানো স্টার ওয়ার্সের প্রতিটি ছবি যেমন সেলুলয়েডের পর্দায় আলোড়ন তুলেছে, তেমনি একইভাবে স্টার ওয়ার্স নিয়ে তৈরি করা প্রতিটি গেমস জনপ্রিয়তা পেয়েছে গেমসপ্রেমীদের মাঝে। স্টার ওয়াসের্র কাহিনীর ওপর ভিত্তি করে বাজারে এসেছে সর্বশেষ গেম স্টার ওয়ার্স: এম্পায়ার অ্যাট ওয়ার। গেমসে গেমারকে এম্পায়ার বা রিবিলিয়নদের যেকোনো একটি পক্ষ নিয়ে খেলা শুরু করতে হবে। এম্পায়ারের লক্ষ্য, রিবিলিয়নদের ধ্বংস করে গ্রহগুলো নিজেদের আধিপত্য বিস্তার করবে। অন্যদিকে রিবিলিয়নদের কাজ হচ্ছে গেরিলা আক্রমণের মাধ্যমে এম্পায়ারদের কাছ থেকে বিভিন্ন গ্রহের দখল নেওয়া। গেমসে স্ট্র্যাটেজিক এবং ট্যাকটিক্যাল দুই ধরনের মোডে খেলা যাবে। স্ট্র্যাটেজিক মোডে গেমার গ্যালাক্সির সব গ্রহের ম্যাপ পাবেন। ট্যাকটিক্যাল কমব্যাট মোড খেলার সময় প্রতিপক্ষের সঙ্গে সরাসরি যুদ্ধ করতে হবে। ল্যান্ড-ব্যাটলগুলোর তুলনায় স্পেস-ব্যাটলগুলো খেলতে বেশি আনন্দ পাওয়া যাবে। গেমার যত বেশি গ্রহ নিজের দখলে রাখতে পারবে, তত বেশি পয়েন্ট তার ঘরে জমা পড়বে এবং এই পয়েন্ট দিয়ে গেমার তার গ্রহের উন্নতি করতে পারবে। ফলে সব মিলিয়ে গেমারের বুদ্ধিমত্তার ওপর নির্ভর করবে সৌরজগতের ভবিষ্যৎ। গেমসের সাউন্ড এফেক্ট এবং গ্রাফিকস উভয় জায়গায় পুরোনো ভাবধারার সঙ্গে নতুন এফেক্টের সংমিশ্রণ ঘটানো হয়েছে। গেমসের গ্রাফিকসের ক্ষেত্রে আগের ভার্সনের তুলনায় তেমন কোনো পরিবর্তন আনা হয়নি এই গেমে। গেমের গ্রাফিকসের তুলনায় সাউন্ড এফেক্ট আরও উন্নতমানের। ভালো সাউন্ডকার্ড ও সারাউন্ড স্পিকার সিস্টেম থাকলে গেমাররা পরিপূর্ণভাবে গেমটির শব্দ উপভোগ করতে পারবে। ফলে গেমসটি খেলার সময় অদ্ভুত এক ভালোলাগা পেয়ে বসবে গেমারের মধ্যে।

যা যা প্রয়োজন
অপারেটিং সিস্টেম: উইন্ডোজ ৯৮, ২০০০, এমই, এক্সপি
প্রসেসর: ১ গিগাহার্টজ
ভিডিও কার্ড: ৩২ মেগাবাইট ডাইরেক্ট এক্স সহযোগী
সিডি-রম ড্রাইভ: ১২ এক্স
র‌্যাম: ২৫৬ মেগাবাইট
র‌্যামডাইরেক্ট এক্স: ৮.১
হার্ডডিস্ক ড্রাইভ: ২.৫ গিগাবাইট খালি জায়গা