সনির বহু প্রতীক্ষিত আগামী প্রজন্মের সামাজিক নেটওয়ার্কিং সাইট প্লেস্টেশন হোমের বেটা বা পরীক্ষামূলক সংস্করণ উন্নুক্ত করা হয়েছে। এর মাধ্যমে গেমাররা তাদের নিজস্ব ‘অ্যাভাটার’ বা অনলাইনে তাদের ভার্চুয়াল প্রতিনিধি তৈরি করতে পারবে এবং এর মাধ্যমে ত্রিমাত্রিক পরিবেশে অন্য গেমারদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে পারবে।প্লেস্টেশন ব্যবহারকারীরা প্লেস্টেশন হোমের মাধ্যমে অসংখ্য ছোটখাটো গেম খেলতে পারবে। তারা একে অপরের সঙ্গে ‘চ্যাট’ করতে পারবে এবং শিগগিরই নিজেদের মধ্যে সংগীত ও ভিডিও আদান-প্রদান করতে পারবে।প্লেস্টেশন নেটওয়ার্কের নিবন্ধিত ব্যবহারকারীরা বিনা মূল্যে প্লেস্টেশন হোম ব্যবহার করতে পারবে।বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্লেস্টেশন হোম হবে ফেসবুক ও সেকেন্ড লাইফের হাইব্রিড রূপ। অনেক বছর ধরেই প্লেস্টেশন হোম তৈরির প্রক্রিয়া চলছিল। তবে ২০০৭ সালে সনি কর্তৃপক্ষ এটির ঘোষণা দেয়। যুক্তরাজ্যের প্লেস্টেশন ম্যাগাজিনের সম্পাদক টিম ক্লার্ক বলেন, প্রকল্পটি ছিল উচ্চাভিলাষী। তাই এটি বাস্তবায়ন করতে দেরি হয়েছে।তিনি জানান, পিএস হোম তৈরির উদ্দেশ্য হলো প্লে স্টেশন থ্রির মালিকদের জন্য একটি ভার্চুয়াল ক্ষেত্র তৈরি করা, যাতে তারা নিজেদের মধ্যে সাক্ষাৎ করতে, কথা বলতে এবং গেম খেলতে পারে। তবে প্লে স্টেশন থ্রির জন্য প্রয়োজন একটি স্থিতিশীল ত্রিমাত্রিক পরিবেশ। প্লেস্টেশন থ্রিগুলোয় ব্রডব্যান্ড সুবিধা আছে বলে এটাতে এ পরিবেশ পাওয়া যাবে। তবে প্লেস্টেশন টুতে ব্রডব্যান্ড সুবিধা নেই। তাই প্রকল্পটি পুরোপুরি বাস্তবায়নে কিছুটা সময় লাগবে।প্লেস্টেশন নেটওয়ার্ক ব্যবহারকারীদের জন্য প্লেস্টেশন হোম বিনা মূল্যে দেওয়া হলেও সনি এ থেকে অর্থ উপার্জনেরও উপায় খুঁজছে। গেমাররা তাদের অ্যাভাটারের জন্য পোশাক, বাসা−এসব কিনতে পারবে। এ ছাড়া ত্রিমাত্রিক জগতে বিলবোর্ড ও ভিডিও স্ক্রিনে বিজ্ঞাপন বিক্রি করে আয় হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।একবক্স ৩৬০-এর সঙ্গে পাল্লা দিতে গিয়ে সনির প্লেস্টেশন থ্রির বিক্রি পড়ে গেছে। সনি আশা করছে, প্লেস্টেশন হোমের মাধ্যমে প্লেস্টেশন থ্রির বিক্রি বেড়ে যাবে।