১৯৫৭ সালে মারে গেলম্যান আর আর্ট রোজেনফিল্ডের কণাধর্মের একটি তালিকা প্রকাশিত হয় অ্যানুয়াল রিভিউ অব নিউক্লিয়ার সায়েন্স পত্রিকায়। তাদের উদ্দেশ্য ছিল হাইপেরন ও ভারী মেসনের তত্ত্বীয় ও পরীক্ষালব্ধ ফলাফলের একটি তালিকা বানানো। রোজেনফিল্ড আর ওয়াল্টার বারকাস ওই নিবন্ধের ‘ভর ও অর্ধায়ুর তালিকা’ শীর্ষক তালিকাটি হালনাগাদ করার সিদ্ধান্ত নেন। লরেন্স বিকিরণ পরীক্ষাগারের একটি অপ্রকাশিত প্রতিবেদনে সেটি স্থানও পায়। ১৯৫৮ সালে তাঁরা আবার এটি হালনাগাদ করেন এবং এবার প্রকাশের সময় এর সঙ্গে একটি ‘ওয়ালেট কার্ড’ জুড়ে দেন (ছবি). ওয়ালেট কার্ড হলো সব তথ্যের একটি সারসংক্ষেপ, যা কার্ড আকারে ওয়ালেট বা মানিব্যাগে রাখা যায়। ফার্মি ল্যাবের কণা উপাত্ত গ্রুপের এখনকার প্রধান মিশেল বার্নাডের মতে, ‘এটি হলো প্রথম কণা উপাত্ত বই।’ এই কার্ডে প্রত্যেক সারসংক্ষেপের দুটি কপি রয়েছে, যা মাঝ বরাবর ছেঁড়া যায়। একটি রুলারের ছবিও রয়েছে মাপের ব্যাপারটা বোঝার জন্য। এটি খুব দ্রুত পরিচিতি লাভ করে। বিছানার চাদর যদিও অনেক বড়, কিন্তু রাশিয়ার বিজ্ঞানীরা এই তালিকার নাম দেন ‘রোজেনফিল্ডের চাদর’!২০০৫ সালে ১২৩০ পৃষ্ঠার রিভিউ অব পার্টিকল ফিজিক্স পুনর্মুদ্রিত হয় এই ওয়ালেট কার্ডসহ। পরে এটি ৩২০ পৃষ্ঠার বুকলেটে পরিণত হয়েছে। মিশেল বার্নাড এটিকে অবশ্য আরও ছোট আকারে নামিয়ে আনতে চান।এই মহাবিশ্বের স্বরূপ অন্বেষণে মৌলিক কণাসমূহের সব বৈশিষ্ট্য জানাটা খুবই জরুরি। কোয়ার্ক ও হেড্রনের ঘাত-প্রতিঘাতের নানা দিক উন্েনাচনে আজকের লড়াইয়ে এই ওয়ালেট কার্ডটি দীর্ঘদিন ধরে এক বিশেষ স্থান ধরে রেখেছে!