প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে প্রাত্যহিক কর্মময় জীবনে অধিকতর গতিশীলতা আনয়নের উদ্দেশ্যে উন্নত বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অতিদ্রুত জনপ্রিয় হয়ে উঠছে অনলাইন ভিত্তিক ভার্চুয়াল মিটিং। এর মাধ্যমে মূলত গতিশীল বিশ্বে নিজেদের ব্যবসায়িক প্রয়োজনের লক্ষ্যে যেসকল কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়ে থাকে তার সম্পূর্ণটাই অতি অল্প সময়ে এবং স্বল্পমূল্যে বাস্তবায়ন করা সম্ভব। বিশেষ করে বর্তমান বিশ্বে যে হারে ভ্রমণ খরচ বৃদ্ধি পেয়েছে তা থেকে প্রতিষ্ঠানকে রক্ষা করতে এবং কাজ দ্রুত সম্পাদনের কারণে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে বিশ্বের শীর্ষ প্রতিষ্ঠানসমূহের শীর্ষ নির্বাহীদের নিকটে। ফরেস্টার রিসার্চ-এর ক্লেইরি স্কুলি জানান, ‘এই প্রযুক্তি মানুষের জীবনধারাকে এমনভাবে বদলে দিতে সমর্থ হয়েছে যার মাধ্যমে ব্যবসায়িক কর্মপরিকল্পনা অনুযায়ী একে অন্যের সাথে সহযোগিতামূলক কর্মকান্ড গ্রহণের মাধ্যমে ভ্রমণের খরচ এবং সময় বাঁচানো সম্ভব।’ বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় টেকনোলজি কনসালটিং ফার্ম ‘এক্সেন্সার’ ইতোমধ্যে তাদের সারা বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে থাকা অফিসমূহের মধ্যে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ভার্চুয়াল মিটিং সম্পাদনের উদ্দেশ্যে ১৩টি ভিডিও কনফারেন্সিং রুম প্রতিষ্ঠা করেছে এবং আশা করছে এ বছরের শেষ নাগাদ তা ২২টিতে উন্নীত করা সম্ভব হবে। অবিশাস্য হলেও সত্য বিশ্বের এই শীর্ষস্থানীয় টেকনোলজি কনসালটিং ফার্ম ‘এক্সেন্সার’ ইতোমধ্যে অনলাইন ভিত্তিক ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে অনুষ্ঠিত ভার্চুয়াল মিটিং সম্পাদনের মাধ্যমে ইতোমধ্যে তাদের প্রতিষ্ঠানের ২৪০টি ইন্টারন্যাশনাল ট্রিপ এবং ১২০টি ডোমেস্ট্রিক ফ্লাইট হতে নিজেদের বিরত রাখতে সক্ষম হয়েছে। যার মাধ্যমে এই বছর পূর্বের তুলনায় এক মিলিয়ন ডলার খরচ করা হতে বিরত হতে সক্ষম হবে বলে আশা করছে তারা। সেই সাথে শীর্ষ কর্মকর্তাদের অমূল্য সময় রক্ষা পায় এই ওয়েব ভিত্তিক ভার্চুয়াল মিটিংয়ের মাধ্যমে। কেননা, ভার্চুয়াল মিটিংয়ের মাধ্যমে বিশ্বের যেকোন প্রান্তে থাকা যেকোন ব্যক্তি ওয়েব কনফারেন্সিং, অনলাইন ডকুমেন্ট শেয়ারিং, উইকিস’সহ ইন্টারনেট টেলিফেনি প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে তাদের সকলে ধরনের মিটিং সম্পাদন করতে সক্ষম হয়ে থাকে।