ভিয়েতনাম সে দেশের ইন্টারনেট ব্লগের (ওয়েব ডায়েরি) ওপর বিধিনিষেধ আরও কঠোর করেছে। সরকারের বিবেচনায় যেসব বিষয় ‘অযথাযথ’ এবং জাতীয় নিরাপত্তা বিঘ্নিত করে, সেসব বিষয়ের ওপর যাতে কেউ লিখতে না পারে, সে জন্য এই কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে। দেশটির তথ্য ও যোগাযোগ মন্ত্রণালয় এসংক্রান্ত একটি অধ্যাদেশ জারি করে। একটি সরকারি নথির বরাত দিয়ে স্থানীয় গণমাধ্যম জানায়, ‘ব্লগারদের (যাঁরা ব্লগ লেখেন) উচিত ভিয়েতনামের আইন মেনে চলা এবং পরিশীলিত ভাষায় ব্লগ লেখা।’ভিয়েতনামে দুই কোটির বেশি নাগরিক ইন্টারনেট ব্যবহার করে। এটা দেশটির মোট জনসংখ্যার এক-তৃতীয়াংশ। ভিয়েতনামের জাতীয় গণমাধ্যমগুলোর ওপর রাষ্ট্রের কড়া নিয়ন্ত্রণ রয়েছে। ফলে দেশের মানুষের কাছে খবরের একটি গুরুত্বপূর্ণ উৎস হচ্ছে ইন্টারনেট ব্লগ। তথ্য ও যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের নতুন অধ্যাদেশে বলা হয়েছে, ইন্টারনেট সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোতে প্রতি ছয় মাস অন্তর সরকারের কাছে ব্লগারদের সম্পর্কে তথ্য সরবরাহ করতে হবে। এ ছাড়া দেশের নিরাপত্তায় বিঘ্ন সৃষ্টিকারী, সহিংসতা উসকে দেয়, সামাজিক শৃঙ্খলা নষ্ট করে এবং রাষ্ট্রের গোপনীয়তা প্রকাশ করে, এমন তথ্য ব্লগে লেখা নিষিদ্ধ করা হয়েছে নতুন অধ্যাদেশে।

এদিকে নতুন করে কড়াকড়ি আরোপ করায় ভিয়েতনামের ব্লগাররা ক্ষুব্ধ হয়েছে। তারা বলেছে, নতুন এ অধ্যাদেশ তাদের মত প্রকাশের স্বাধীনতা খর্ব করবে। প্যারিসভিত্তিক গণমাধ্যম পর্যবেক্ষক সংস্থা রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডারস ইন্টারনেটের শত্রুদের তালিকায় ভিয়েতনামকে অন্তর্ভুক্ত করেছে। ভিয়েতনামের আদালতগুলো চলতি মাসের গোড়ার দিকে বেশ কয়েকজন ভিন্ন মতাবলম্বী ব্লগারকে কারাদন্ড দিয়েছে।

সৌজন্যে : দৈনিক প্রথম আলো