কম্পিউটারের মাউস বা কি-বোর্ডের প্রায় ষোলআনা কাজই যদি এক আঙ্গুলের ছোঁয়াতেই হয় তাহলে আর খামোখা বাড়তি ঝামেলা পোহানোর দরকার কী? আর এই এক আঙ্গুলের কেরামতিতে প্রায় সব কাজ করার ব্যবস্থা হয়েছে হিউলেট-প্যাকার্ডের (এইচপি) টাচ স্নার্ট অল-ইন-ওয়ান কম্পিউটারে। এর সঙ্গে নতুন আরও ১৭টি ল্যাপটপ কম্পিউটারের বিশ্ববাসীর কাছে পরিচিত করিয়ে দিল এইচপি। এ জন্য গত ১০ ও ১১ জুন জার্মানির রাজধানী বার্লিনের বার্লিনার কংগ্রেস সেন্টারে (বিসিসি) বর্ণাঢ্য এক আয়োজন করে বিশ্বখ্যাত এই কম্পিউটার নির্মাতা। ‘কম্পিউটারকে আরও আপন, আরও কাছের করে তোলাই আমাদের অঙ্গীকার।’ এ কথা বলেই ১০ জুন ‘কানেক্টিং ইয়োর ওয়ার্ল্ড, বার্লিন-২০০৮’ শিরোনামের এ আয়োজনের উদ্বোধন করেন এইচপির পার্সোনাল সিস্টেম গ্রুপের নির্বাহী ভাইস প্রেসিডেন্ট টড ব্র্যাডলি। সরল বাংলায় এইচপির এই আঙ্গুলনির্ভর কম্পিউটারকে ‘একের ভেতর সব’ নাম দেওয়াই যায়। এইচপি কর্মকর্তারা অবশ্য এটিকে পরবর্তী প্রজন্েনর কম্পিউটার বলেই ঘোষণা দিয়েছেন। এই টাচ স্নার্ট কম্পিউটারের ২২ ইঞ্চি স্পর্শকাতর পর্দায় (টাচস্ক্রিন) আঙ্গুলের ছোঁয়াতেই পাওয়া যাবে তথ্য, বিনোদন আর ইন্টারনেট। যদিও এই কম্পিউটারে তারহীন কি-বোর্ড ও মাউস আছে, তবে কেউ চাইলে এই দুই যন্ত্রাংশ ছাড়াই অনেক কাজ করতে পারবেন। যেমন গান শোনা, গানের তালিকা তৈরি, ছবি ছোট বা বড় করে দেখা, দ্রুত আবহাওয়ার খবর বা টেলিভিশন দেখা−সবই করা যাবে মনিটরে আঙ্গুল ছুঁয়েই। শুধু তা-ই নয়, পছন্দের কোনো টিভি অনুষ্ঠান চাইলে ধারণ করেও রাখা যাবে। ডিভিডিতে কোনো কিছু কপি করার ব্যবস্থাও আছে উইন্ডোজ ভিসতা-চালিত এ কম্পিউটারে।এইচপির কনজিউমার পিসি বিজনেসের বিপণন বিভাগের ভাইস প্রেসিডেন্ট জন কক নতুন এ কম্পিউটার সম্পর্কে বললেন, ‘পার্সোনাল কম্পিউটারের অভিজ্ঞতায় এ টাচ স্নার্ট নতুন মাত্রা দেবে।’ বিদ্যুৎ সংযোগের একটি তার ছাড়া আর কোনো তারের বালাই নেই এতে। ইন্টেলের ডুয়াল কোর প্রসেসরে চলবে এ কম্পিউটার। এতে আরও আছে তারহীন ডব্লিউল্যান (ওয়্যারলেস লোকাল এরিয়া নেটওয়ার্ক)। টাচ স্নার্ট ঘরানার এ দুটি কম্পিউটার এখন আইকিউ ৫০৪ ও ৫০৬ মডেলে পাওয়া যাবে।