ওয়েবে অরক্ষিত অবস্থায় ঘুরে বেড়ালে করলে স্প্যাম বা অনাকাঙ্ক্ষিত ই-মেইলের হামলার শিকার হতে হয়। তবে এর ব্যাপকতা কত, তা বোঝা গেছে সাম্প্রতিক এক গবেষণায়। কম্পিউটার নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠান ম্যাকআফি এক গবেষণায় জানায়, অরক্ষিত ওয়েব ব্যবহারকারীদের কাছে প্রতিদিন গড়ে ৭০টি স্প্যাম আসে।ম্যাকআফি বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে ৫০ জন ইন্টারনেট ব্যবহারকারীকে স্প্যাম প্রতিরোধ করে এমন কোনো সফটওয়্যার (ফিল্টার) ছাড়াই ইন্টারনেটে বিভিন্ন ওয়েবসাইটে যেতে বলে। দেখা গেছে, এর পরপরই ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের কাছে বিভিন্ন স্প্যাম ই-মেইল আসা শুরু করে। যুক্তরাজ্যের একজন ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর কাছে এক মাসে পাঁচ হাজার ৪১৪টি স্প্যাম ই-মেইল এসেছে।ম্যাকআফি ১০টি দেশের প্রতিটিতে পাঁচজন করে ইন্টারনেট ব্যবহারকারী বেছে নেয়। এর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবহারকারীদের কাছে সবচেয়ে বেশি ২৩ হাজার ২৩৩টি স্প্যাম ই-মেইল এসেছে। এ তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে আছে ব্রাজিল। গবেষকেরা জানান, পরীক্ষায় অংশ নেওয়া স্বেচ্ছাসেবকদের কম্পিউটার ধীরগতির হয়ে গেছে। এর মানে হচ্ছে, যখন তারা ইন্টারনেটে বিচরণ করছে, তখন তাদের কম্পিউটারে বিভিন্ন ক্ষতিকর প্রোগ্রাম বহনকারী ই-মেইল (মেলওয়্যার) আসছে এবং প্রোগ্রামটি ইনস্টল হয়ে যাচ্ছে।ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর কাছে আসা স্প্যামগুলোর মধ্যে আট শতাংশ ‘ফিশিং ই-মেইল’। এগুলো নির্ভরযোগ্য উৎসের ছদ্মাবরণে আসে। এরপর ব্যবহারকারীর গোপন তথ্য যেমন−ইউজার নেম, পাসওয়ার্ড বা ব্যাংক হিসাবের বিস্তারিত জানতে চায়।স্প্যাম সবচেয়ে বেশি আসে বিজ্ঞাপনের ছদ্মাবেশে। এর পরই আছে অর্থনৈতিক বিষয়। ম্যাকআফির প্রধান নির্বাহী ডেভ ডি ওয়াট জানান, স্প্যামের সংখ্যা ও বৈচিত্র্য অবাক করার মতোই। তিনি বলেন, ‘আমরা এ গবেষণা করে দেখেছি, স্প্যামের সঙ্গে সাইবার অপরাধ জড়িয়ে আছে। স্প্যাম সমস্যাটা বিশাল। এর পুরোপুরি সমাধান করা যাবে না। কেবল দমন করে রাখা যাবে।’