ল্যাপটপ ব্যবহারকারীদের সুবিধার্থে তাদের ব্যবহৃত ল্যাপটপের নিরাপত্তা প্রদান করবে সফটওয়্যার ‘লো-জ্যাক’ এবং ‘এডিওনা’। এই সফটওয়্যারের বিশেষত্ব হচ্ছে এটি সুনির্দিষ্ট ল্যাপটপসমূহ হারিয়ে গেলে তার অবস্থান নির্ধারণ করতে সক্ষম এবং প্রয়োজনে ল্যাপটপ চোরের ছবি তার অজান্তে স্বয়ংক্রিয়ভাবে উঠানোর মাধ্যমে তার পরিচয় প্রকাশ করতে সক্ষম। এই দুটি সফটওয়্যারের মাধ্যমে উন্নত বিশ্বের পাশাপাশি অদূর ভবিষ্যতে অগণিত ল্যাপটপ ব্যবহারকারী তাদের নিত্য ব্যবহার্য ল্যাপটপ হারিয়ে গেলে তা উদ্ধার করতে সক্ষম হবে বলে সকলে মনে করছেন। বিশেষ করে ওপেন সোর্স ভিত্তিক এডিওনা ল্যাপটপ ট্র্যাকিং সিস্টেম ব্যবহারের মাধ্যমে কোন ব্যক্তির সুবিধার্থে সহজেই ব্যবহার করা সক্ষম হবে। তবে এই সুযোগ লাভ করতে হলে, ল্যাপটপ ব্যবহারকারীকে তাদের ল্যাপটপে ল্যাপটপ ট্র্যাকিং সিস্টেম সফটওয়্যারটি ইনস্টল করতে হবে। পরবর্তী পর্যায়ে ল্যাপটপ ট্র্যাকিং সিস্টেম ল্যাপটপ ব্যবহারকারীর তথ্য এবং অবস্থান তাদের সার্ভারে সংরক্ষণ করবে। যদি কখনো কোন ব্যক্তির ল্যাপটপ হারিয়ে যায় তবে এই সফটওয়্যারটি আইপি এড্রেস আইডেন্টি নির্ধারণের মাধ্যমে চুরি যাওয়া ল্যাপটপটি’র অবস্থান নির্ধারণ করতে সক্ষম হবে। সেই সাথে ল্যাপটপে সংযুক্ত ক্যামেরার মাধ্যমে চুরি করা ল্যাপটপ ব্যবহারকারীর ছবি প্রতি ৩০ সেকেন্ড অন্তর তুলে থাকবে এবং প্রাপ্ত ছবি ইন্টারনেটের মাধ্যমে স্বয়ংক্রিয়ভাবে তাদের সার্ভারে পাঠানোর মাধ্যমে ল্যাপটপ চোরের ছবি এবং অবস্থান জানাতে সক্ষম হবে। ফলে অতিসহজেই প্রাপ্ত তথ্যাদি এবং ছবির মাধ্যমে আইন-শৃখংলা বাহিনীকে ল্যাপটপের অবস্থান এবং ল্যাপটপ চোরের তথ্য প্রদান করা সম্ভব হবে। যা পরবর্তী পর্যায়ে আইন-শৃংখলা বাহিনীকে ল্যাপটপটি উদ্ধারে সহায়তা করবে নিঃসন্দেহে। প্রাথমিক অবস্থায় সর্বাধুনিক এই প্রযুক্তি সম্বলিত ল্যাপটপ ট্র্যাকিং সিস্টেম উন্নত বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কার্যকর করা সম্ভব হবে। যদিও আশা করা যাচ্ছে অদূর ভবিষ্যতে সারা বিশ্বজুড়ে ল্যাপটপ ট্র্যাকিং সিস্টেম সম্বলিত সফটওয়্যারের বহুল ব্যবহারের মাধ্যমে ল্যাপটপ চুরি বন্ধ করা যাবে।