তথ্যপ্রযুক্তির অবাধ প্রবাহ সারাবিশ্ব জুড়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে সক্ষম হলেও বিশেষ কিছু ক্ষেত্রে তা ক্ষতির কারণ হিসেবে বিবেচিত হয়ে চলেছে। বিশেষত, অপ্রাপ্তবয়স্কদের ইন্টারনেট ব্যবহারের মাধ্যমে অনাকাঙ্খিত ওয়েবসাইট সমূহ সহজলভ্য হওয়ায় তা ক্ষতির কারণ হিসেবে বিবেচিত হয়ে চলেছে। বিষয়টির গুরুত্ব অনুধাবনপূর্বক যুক্তরাজ্য সরকার ইন্টারনেটের বিভিন্ন ওয়েবসাইটসমূহে সেফগার্ড সংযোজনের উদ্যোগের ধারাবাহিকতায় পরিকল্পনা করছে ইন্টারনেট ভিত্তিক সমাজ ব্যবস্থায় বিভিন্ন ওয়েবসাইটসমূহের বয়স ভিত্তিক কনটেন্টসমূহ প্রদানের বিষয়ে একটি নীতিমালা প্রণয়নের। মূলত সারাবিশ্বে জনপ্রিয় বেশ কয়েকটি ভিডিও শেয়ারিং সাইটসমূহে যে পদ্ধতির আওতায় বয়স নির্ধারণীমূলক পদ্ধতি অবলম্বনের মাধ্যমে অপ্রাপ্তবয়স্কদের সকল কনটেন্ট শেয়ার করা হতে বিরত রাখা সম্ভব হয়েছে, একই পদ্ধতি ব্যবহারের মাধ্যমে সারাবিশ্বজুড়ে ওয়েবসাইটসমূহের বয়স নির্ধারণী অপশন সংযোজনের মাধ্যমে সে সকল ওয়েবসাইটসমূহকে সকলের নিকট গ্রহণযোগ্য করে তোলা সম্ভব। মূলত শিশুদের নিরাপদ ইন্টারনেট ব্যবহারের প্রয়োজনীয়তার বিষয়টিকে গুরুত্বসহকারে অনুধাবনপূর্বক যুক্তরাজ্য সরকার এই উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। এ উদ্যোগের সাথে যুক্তরাষ্ট্রের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা চালিয়ে যাবার উদ্যোগও গ্রহণ করেছে তারা। ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের বৃহত্তর কল্যাণে ইতোপূর্বে বিভিন্ন দেশসমূহে নিরাপদ ইন্টারনেট ব্যবহারের উদ্যোগ গ্রহণ করা হলেও যুক্তরাজ্য সরকার শিশুদের নিরাপদ ইন্টারনেট ব্যবহারের লক্ষ্যে গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি সাধন করে চলেছে এবং অচিরেই ইন্টারনেটকে বিশ্বজুড়ে সকলের জন্য সহায়ক হিসেবে গড়ে তুলতে আন্তর্জাতিকভাবে ইন্টারনেট কনটেন্ট আইন ব্যবস্থা বাস্তবায়নের গুরুত্ব সম্পর্কে সকলকে সচেতন করে তুলেছে। ফলে অচিরেই আশা করা যাচ্ছে সকল বয়সী ব্যক্তিদের উপযোগী ফিল্টারেশন পদ্ধতি ব্যবহারের মাধ্যমে ওয়েব সাইট তৈরি হবে।

সৌজন্যে : দৈনিক ইত্তেফাক