যুক্তরাজ্য সরকার সম্প্রতি তাদের দেশে ‘বায়োমেট্রিক আইডেন্টিটি কার্ড’ চালু করেছে। উন্নত প্রযুক্তিসম্পন্ন এই ‘বায়োমেট্রিক আইডেন্টিটি কার্ড’ সে দেশে জনগণের অধিকতর সামাজিক এবং অর্থনৈতিক সেবা প্রাপ্তির সুযোগ নিশ্চিত করবে বলে তারা জানিয়েছে। মূলত যুক্তরাজ্য সরকার যে দেশে অবৈধভাবে অনুপ্রবেশকারী এবং বসবাসকারীদের চিহ্নিত করতেই এই প্রযুক্তির ব্যবহার শুরু করেছে। গত বৃহস্পতিবার হতে চালু হওয়া এই ‘বায়োমেট্রিক আইডেন্টিটি কার্ড’ যুক্তরাজ্যের সকল বৈধ নাগরিক এবং অধিবাসীদের প্রদান করা হবে বলে জানিয়েছে সে দেশের কর্তৃপক্ষ। এই কার্ড প্রদানে কয়েক বিলিয়ন পাউন্ড ব্যয় হবে এবং এই ‘বায়োমেট্রিক আইডেন্টিটি কার্ড’টি স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য সম্বলিত হবার কারণে কোনক্রমেই এই কার্ড জাল করা সম্ভব হবে না। উন্নত প্রযুক্তির বায়োমেট্রিক প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে যুক্তরাজ্যে অবৈধ অনুপ্রবেশকারী সনাক্ত করার পাশাপাশি দেশের সর্বস্তরে এই কার্ডের ব্যবহার শুরু হলে সন্ত্রাসবাদ নিরসনে এই কার্ড ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবে বলে যুক্তরাজ্য মনে করছে। ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষকে এই বায়োমেট্রিক ফিংগারপ্রিন্ট সমৃদ্ধ আইডেন্টিটি কার্ড পূর্বের তুলনায় অধিকতর সহায়তা করতে সক্ষম হবে এবং এর মাধ্যমে অবৈধ মানব পাচার বন্ধ করা সম্ভব হবে বলে আশা করা হচ্ছে। প্রাথমিকভাবে যুক্তরাজ্যের নাগরিকদের এই কার্ড প্রদান করা শুরু হলেও নভেম্বর মাস হতে বিদেশী নাগরিকদের জন্য যারা বৃটেনে বসবাস করেন তাদের জন্য কার্ড প্রদান করা হবে। এই বায়োমেট্রিক আইডেন্টিটি কার্ডে একজন মানুষের ব্যক্তিগত তথ্যাদি, হাতের ছাপসহ মুখের ছবির ইমেজসহ অন্যান্য বায়োমেট্রিক তথ্যাদি থাকার কারণে কোনক্রমেই কার্ডটি জাল করা সম্ভব হবে না। ফলে সে দেশের পরিকল্পনানুসারে কয়েক বিলিয়ন পাউন্ডের বিনিময়ের বায়োমেট্রিক আইডেন্টিটি কার্ড সত্যিকার অর্থেই যুক্তরাজ্যে অবৈধপ্রবেশকারীসহ অবৈধ অধিবাসীদের সনাক্ত করতে সক্ষম হবে। এই কার্যক্রমের মাধ্যমে কোন বৈধ ভ্রমণকারী হয়রানির স্বীকার হবে না বলে জানিয়েছে যুক্তরাজ্য কর্তৃপক্ষ।