ঠিক এখন যদি কেউ ইচ্ছে করেন প্রাকৃতিক সপ্তাশ্চর্য নির্বাচনে কক্সবাজার ও সুন্দরবনের পক্ষে ভোট দেবেন, তবে পারবেন না। ভোটগ্রহণ ৭ জানুয়ারি পর্যন্ত স্থগিত আছে। কারণ, এখন চলছে প্রতিটি দেশ থেকে একটি করে প্রাকৃতিক স্থানকে জাতীয় মনোনয়ন হিসেবে নির্বাচিত করার কাজ। ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রতিটি দেশের একাধিক মনোনয়নের মধ্যে ইন্টারনেট ভোটে এগিয়ে থাকা মনোনয়নটি এখন টিকে থাকবে। এ ছাড়া একাধিক দেশ জুড়ে যে প্রাকৃতিক স্থানগুলো রয়েছে সেসব মনোনয়ন স্থান পাবে। ৭ জানুয়ারির পর আয়োজক কর্তৃপক্ষ যে তালিকা প্রকাশ করবে তার ওপর আবার ভোট শুরু হবে। প্রাথমিক পর্বের এ ভোটগ্রহণ চলবে চলতি বছরের ৭ জুলাই পর্যন্ত। ৭ জুলাই পর্যন্ত ভোটে এগিয়ে থাকা ৭৭টি স্থানের মধ্য থেকে বিশেষজ্ঞ বিচারকদের বিচারে চুড়ান্ত পর্বে উন্নীত ২১টি। এর পর আবার শুরু হবে ভোটগ্রহণ। চলবে ২০১১ সাল পর্যন্ত। এই ২১টি জায়গার মধ্যে ভোট ও বিশেষজ্ঞদের বিচারে প্রকৃতির সেরা ৭ আশ্চর্যের চুড়ান্ত তালিকা ঘোষণা করা হবে ২০১১ সালে।৭ জানুয়ারির পর বাংলাদেশের একমাত্র মনোনয়ন কক্সবাজার যে টিকে থাকছে, তাতে সন্দেহ নেই। একাধিক দেশে অবস্থানের কারণে সুন্দরবনও তালিকায় টিকে থাকবে। তাই বাংলাদেশের মানুষের ভোট দেওয়ার সুযোগ থাকছে। যেহেতু পুরো নির্বাচন প্রক্রিয়া দীর্ঘমেয়াদি, তাই প্রচারণা যেমন চালিয়ে যেতে হবে তেমনি কক্সবাজার ও সুন্দরবনের পক্ষে ভোটও গ্রহণ করতে হবে। www.new7wonders.com ঠিকানার ওয়েবসাইটে গিয়ে একটি ই-মেইল ঠিকানা থেকে একবার ভোট দেওয়া যাবে।প্রতিটি মনোনয়নের জন্য যে আনুষ্ঠানিক সমর্থন কমিটির প্রয়োজন ছিল তা কক্সবাজারের পক্ষে রয়েছে। কিন্তু সুন্দরবনের পক্ষে কমিটি এখনো ঝুলন্ত অবস্থায় রয়েছে। সুন্দরবনের জন্য বাংলাদেশ কমিটি গঠন করলেও ভারতের কমিটি নেই। তাই এ অবস্থা। যদিও গত ২১ নভেম্বর নিউ সেভেন ওয়ান্ডার্সের ওয়েবসাইটে ভারতীয় পক্ষের কমিটির নাম দেখা গেছে। কয়েক দিন পরই আবারও সুন্দরবনের কমিটিকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখা যায়। হাতে আর মাত্র ছয় মাস। তাই ২০০৯-এর শুরু থেকেই কক্সবাজার ও সুন্দরবনের পক্ষে প্রচারণা আরও জোরেশোরে চালু হোক, আরও বেশি করে ভোট সংগ্রহ করা হোক−সবার এটাই প্রত্যাশা।

সৌজন্যে : দৈনিক প্রথম আলো