দিনে দিনে ইন্টেলের শক্তিশালী প্রতিপক্ষ হচ্ছে এএমডি। তাই এবার এএমডি’কে রুখতে প্রসেসরের দাম কমাতে বাধ্য হচ্ছে ইন্টেল। ইতোমধ্যে ইন্টেল কর্পোরেশন বিভিন্ন প্রকার প্রসেসরের দাম ৪০ শতাংশ পর্যন্ত হ্রাস করেছে। এসব মূল্যহ্রাসকৃত প্রসেসরের মধ্যে রয়েছে উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন দ্রুতগতির কোর চিপসেটের প্রসেসর। এএমডি’র পাশাপাশি বিশ্বজুড়ে অর্থনৈতিক মন্দার কারণে ইন্টেলের প্রসেসরের চাহিদাও কমে যাচ্ছে। আর এএমডি প্রথম থেকেই প্রসেসরের মূল্য কমিয়ে ইন্টেলের প্রধান প্রতিপক্ষ হিসেবে পরিগণিত হয়ে আসছিল। এতোদিন সবাই ধারণা করতো, এএমডি’র প্রসেসরগুলোর দক্ষতা ইন্টেলের চেয়ে কম হওয়ায় সম্ভবত এগুলোর দাম কম। কিন্তু এএমডি কমদামে ফেনোম২ কোয়াড কোর প্রসেসর বাজারে ছেড়ে সেই ধারণাকে ইতোমধ্যে পাল্টে দিয়েছে। আমেরিকান টেকনোলজি রিসার্চ এনালিস্ট ডগ ফ্রিডম্যান এএমডি প্রসঙ্গে বলেন, ‘এর আগের বছরের তুলনায় গত বছর এএমডি’র সাফল্য অবশ্যই উল্লেখ করার মতো। এএমডি এখন সেমিকন্ডাক্টর জগতে আলাদা নাম করে নিয়েছে।’ ইন্টেল কোর২ কোয়াড কিউ৯৬৫০ প্রসেসর যা ডেস্কটপ কম্পিউটারের জন্য ব্যবহার করা হয় তার মূল্য ৩১৬ ডলারে নামিয়ে এনেছে। অথচ গত ডিসেম্বরেই এই প্রসেসরটির মূল্য ছিল ৫৩০ ডলার! অন্য সকল প্রকার কোর২ কোয়াড চিপ প্রসেসরের মূল্যও ১৬ থেকে ২০ শতাংশ কমানো হয়েছে। এখানে উল্লেখ্য যে, কোয়াড কোর চিপ প্রসেসরগুলোতে একটি সিলিকন চিপের মধ্যে ৪টি প্রসেসর থাকে। অন্যদিকে এএমডি’র ফেনোম২ কোয়াড কোর চিপ-এর মূল্য প্রথম থেকেই ছিল ২১৫ ডলার। কিন্তু দক্ষতা বিবেচনা করলে তা কোন অংশেই ইন্টেলের কোয়াড কোর চিপ প্রসেসরগুলোর তুলনায় কম নয়। ইন্টেল জিয়ন সার্ভার চিপ প্রসেসরের দামও ৪০ শতাংশ কমানোর চিন্তাভাবনা করছে।

সৌজন্যে : দৈনিক ইত্তেফাক