মাইক্রোসফট করপোরেশন গত ২৯ সেপ্টেম্বর উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহারকারীদের জন্য নিজস্ব অ্যান্টিভাইরাস সফটওয়্যার ‘মাইক্রোসফট সিকিউরিটি অ্যাসেনসিয়ালস (এমএসই)’ প্রকাশ করেছে। এটি ভাইরাস, ট্রোজান, স্পাইওয়্যার, রুটকিট (এক ধরনের ম্যালওয়্যার, যা অবৈধভাবে পুরো কম্পিউটারের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয়) ইত্যাদির বিরুদ্ধে কাজ করবে। তবে এমএসই কেবল নিবন্ধিত (লাইসেন্সড) উইন্ডোজের বেলায়ই কাজ করবে বলে মাইক্রোসফটের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। এর আগে গত ২৩ জুন এমএসইর পরীক্ষামূলক সংস্করণ প্রকাশ করা হয়েছিল। প্রায় ৭৫ হাজার কম্পিউটার ব্যবহারকারী এই সংস্করণের মূল্যায়নে অংশ নিয়েছেন। তাঁদের অধিকাংশই এর কার্যকারিতায় সন্তোষ প্রকাশ করেন। এমএসইর অন্যতম একটি বৈশিষ্ট্য হলো, কাজ করার সময় অন্যান্য অ্যান্টিভাইরাসের তুলনায় এটি মেমোরির (র্যাম) খুব কম জায়গা দখল করে বলে কম্পিউটারের গতি ধীর হয় না। এটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে নিয়মিত হালনাগাদ হবে। তবে মাইক্রোসফট জানিয়েছে সর্বোচ্চ মাত্রার সুরক্ষা পেতে হলে এমএসইর পাশাপাশি ওয়েবসাইট দেখার সফটওয়্যার (ব্রাউজার) ও অপারেটিং সিস্টেম নিয়মিত হালনাগাদ করতে হবে এবং উইন্ডোজ ফায়ারওয়াল সব সময় চালু রাখতে হবে। এমএসই কেবল উইন্ডোজ এক্সপি, উইন্ডোজ ভিসতা ও উইন্ডোজ ৭-এর বেলায় কাজ করবে। এমএসই নিয়ে অন্যান্য অ্যান্টিভাইরাস প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া লক্ষ করা গেছে। এটি অপারেটিং সিস্টেমের অংশ হিসেবে উইন্ডোজের সঙ্গে যুক্ত থাকবে না। উইন্ডোজ ব্যবহারকারীরা তাঁদের ইচ্ছেমতো এটি মাইক্রোসফটের ওয়েবসাইট থেকে আলাদাভাবে নামিয়ে নিতে পারবেন। অতএব, কার্যকারিতার প্রশ্নে এমএসইকে ইন্টারনেটে বিনামূল্যে আরও যেসব অ্যান্টিভাইরাস সফটওয়্যার পাওয়া যায়, যেমন—এভিজি, অ্যাভাস্ট, অ্যাভিরা, কমোডো ইত্যাদির সঙ্গে শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নামতে হবে। উল্লেখ্য, এর আগে মাইক্রোসফটের মূল্য সংযোজিত অ্যান্টিভাইরাস পরিষেবা ‘উইন্ডোজ লাইভ ওয়ান কেয়ার’ গ্রাহক ধরে রাখতে ব্যর্থ হওয়ায় গত ৩০ জুন এর কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হয়। এমএসইর অনলাইন ঠিকানা: www.microsoft.com/ security_essentials।

সৌজন্যে : দৈনিক প্রথম আলো