অর্ধশতক আগে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট আইজেনহাওয়ারের শাসনামলে যেমন আন্তরাজ্য মহাসড়কব্যবস্থা গড়ে তোলার ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছিল, তেমনি এখন সব মার্কিন নাগরিকের ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট ব্যবহার নিশ্চিত করার ওপর গুরুত্বারোপ করা উচিত। যুক্তরাষ্ট্রের নাইট কমিশনের প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়েছে। গত শুক্রবার প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, তথ্যের অবাধ প্রবাহ নিশ্চিত করতে উচ্চগতির ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটে প্রবেশ করা জরুরি। বর্তমানে মোট মার্কিন জনগণের এক-তৃতীয়াংশেরও বেশি ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সংযোগ ব্যবহার করতে পারেন না। গ্রামাঞ্চলের অনেক নাগরিক এখনো ইন্টারনেটের জগতে প্রবেশই করতে পারেননি। নাইট কমিশনের সদস্যরা হলেন মিয়ামি হেরাল্ড পত্রিকার সাবেক প্রকাশক, ফেডারেল কমিউনিকেশনস কমিশনের দুজন সাবেক চেয়ারম্যান, গুগলের একজন শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তা, এনএএসিপির প্রেসিডেন্ট ও সিএনএনের সাবেক প্রেসিডেন্ট।

কমিশনের সদস্যরা তাঁদের প্রতিবেদনে বলেন, প্রতিটি মার্কিন নাগরিক যাতে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সংযোগ নিতে পারে, সে ব্যাপারে ওবামা প্রশাসনের জরুরি ভিত্তিতে গুরুত্ব দেওয়া উচিত। এ জন্য কত ব্যয় হবে, তা নিয়ে প্রশাসনের চিন্তা করার কোনো সুযোগ নেই। কারণ এর কোনো বিকল্প নেই। বিশ্বের অনেক দেশ এ ক্ষেত্রে অনেক এগিয়ে আছে। যুক্তরাষ্ট্রের মতো ক্ষমতাধর দেশে এ পরিস্থিতি কাম্য নয়। তাঁরা বলেন, সামাজিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিকভাবে এগিয়ে থাকার জন্য প্রতিটি মার্কিন নাগরিককে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটে প্রবেশ করতে হবে। ব্রডব্যান্ড ও কেব্ল টেলিভিশন সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে প্রণোদনা প্রদানে সরকারকে এগিয়ে আসতে হবে।


সৌজন্যে : দৈনিক প্রথম আলো